অভিযানে বাধা দিলে কঠোর ব্যবস্থা: ভোক্তা অধিকার পরিষদ - মুক্ত আকাশ
    মঙ্গলবার, ২৫ মার্চ ২০২৫, ১১:৩৩ পূর্বাহ্ন
    শিরোনাম:
    গাজায় পানি সরবরাহ বন্ধ করে ফিলিস্তিনিদের বসতভিটা ছাড়তে বাধ্য করছে ইসরায়েল সেনাবাহিনীকে জনগণের মুখোমুখি করা হচ্ছে: তারেক রহমান গণঅভ্যুত্থানে হেলিকপ্টার থেকে ছোড়া গুলীতে শহীদ হন লক্ষীপুরের শ্রমজীবী শাওন মুক্তিযুদ্ধ ও অভ্যুত্থানের চেতনায় এগিয়ে যেতে চায় সরকার: প্রধান উপদেষ্টা দেশে জরুরি অবস্থা জারির বিষয়টি সম্পূর্ণ গুজব: স্বরাষ্ট্র সচিব আশুলিয়া ৪৬ আন্দোলনকারীর গুলিবিদ্ধ লাশ পোড়ানোর প্রতিবেদন ট্রাইবুনালে পৌঁছেছে একনেক প্রকল্পের জন্য ২১ হাজার কোটি টাকার ১৫ প্রকল্প অনুমোদন ৭১ এর সঙ্গে ২০২৪কে একই কাতারে আনা সমুচিত নয়: সালাহউদ্দিন আহমেদ এরদোগানের পদত্যাগের দাবিতে বিরোধী দলের আন্দোলন উওাল তুরস্কের ইস্তাম্বুল হাসিনার বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষের ক্ষোভের সম্পর্কে ভারত অবগত ছিলেন

    অভিযানে বাধা দিলে কঠোর ব্যবস্থা: ভোক্তা অধিকার পরিষদ

    • Update Time : বুধবার, ৫ এপ্রিল, ২০২৩
    • ৩২ Time View

    ডেস্ক রিপোর্ট: ভেজাল বিরোধী অভিযানে ব্যবসায়ী কমিটি বাধা দিলে তাদের বিরুদ্ধেও কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান।

    আজ (৫ এপ্রিল) বুধবার রাজধানীর কারওয়ানবাজার টিসিবি ভবনে ভোক্তা অধিদপ্তরের কসমেটিকস পণ্য আমদানিকারকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এই মন্তব্য করেন তিনি।

    অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, দেশের প্রতিটি বাজারে নকল ও অবৈধ পণ্যে ভরে গেছে। এসব ভেজাল প্রতিরোধে নিয়মিত অভিযান অব্যাহত থাকবে। অভিযানে ব্যবসায়ী কমিটি বাধা দিলে তাদের বিরুদ্ধেও কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।

    তিনি বলেন, মৌলভীবাজারে ভোক্তা অধিদপ্তর অভিযান পরিচালনা করতে গিয়ে প্রতিকূল পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছে, এটা খুবই দুঃখজনক। পরবর্তীতে যেসব বাজারে অভিযান পরিচালনা হবে, সেখানে কোনো ঝামেলা হলে বাজার ব্যবসায়ী কমিটির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

    ভোক্তা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, দেশ নকল-ভেজালে ভরে গেছে। এমন কোনো কসমেটিক নেই যা নকল হচ্ছে না। অনেকে দেশীয় ভালো কিছু ব্র্যান্ডকেও কপি করছে। সেগুলোতে এমন কিছু কেমিকেল ব্যবহার হচ্ছে, যা ত্বকের ক্যান্সার থেকে শুরু করে অনেক বড় ক্ষতি হয়ে যেতে পারে।

    সফিকুজ্জামান বলেন, বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চলছে। গত বছর একটা মিটিংয়ে কিছু ফাইন্ডিংস পেয়েছিলাম। এতে দেখা গেছে, কসমেটিক মূলত প্যাকেজাত হয়, খোলা বিক্রি হয় না। কিন্তু প্যাকেটজাত পণ্যগুলোতে বিএসটিআইয়ের কোনো মোড়ক থাকে না।

    তিনি আরও বলেন, কসমেটিকসের বড় একটা অংশই আমদানি হয়। কিন্তু অভিযানে দেখা গেছে, যে পণ্যগুলো বিদেশ থেকে আসছে, সেগুলোর কোথাও আমদানিকারকদের কোনো তথ্য নেই। এমনকি খুচরা বাজার থেকে কিনতে গেলে বিএসটিআইয়ের কোনো সিল থাকে না। প্রতিটা পণ্য দেশে আসলে অবশ্যই বিএসটিআইয়ের অনুমোদন থাকতে হবে। দামটাও সেভাবেই নির্ধারণ হবে।

    আসন্ন ঈদকে কেন্দ্র করে দাম বাড়ালে ব্যবস্থা নেয়া হবে জানিয়ে ভোক্তা মহাপরিচালক বলেন, ঈদ উপলক্ষে বিশেষ কিছু পণ্য অনেক বিক্রি হয়, এর মধ্যে কসমেটিকস অন্যতম। সারা বছরের তুলনায় ঈদেই বেশি বিক্রি হয়। কিন্তু ঈদকে টার্গেট করে ব্যবসায়ীরা নতুন করে মূল্য বৃদ্ধি করে। অনেক ক্ষেত্রে একই পণ্যের উপর একাধিক ট্যাগ ব্যবহার করে। দোকানের পিছনে একটা জায়গা থাকে, সেখানে নিয়ে ইচ্ছেমতো দাম নির্ধারণ করা হয়। ভোক্তা অধিদপ্তরের অভিযান নিয়মিত চলবে, কোনো ধরনের নকল, ভেজাল বা মূল্যবৃদ্ধি হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

    সভায় উপস্থিত ছিলেন অধিদপ্তরের পরিচালক মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ারসহ অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ের উপপরিচালক ও সহকারী পরিচালকরা, বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের প্রতিনিধি, এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক, ক্যাবের প্রতিনিধি, এনএসআইয়ের প্রতিনিধি, ডিজিএফআইয়ের প্রতিনিধি, মৌলভীবাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতিসহ অন্যান্য প্রতিনিধি, টোকিও স্কয়ার ব্যবসায়ী মালিক সমিতির প্রতিনিধি, স্বপ্ন, আলমাস, লা রিভ, টপ টেন গ্রুপ, কালার ওয়ার্ল্ড, আগোরা, এভার বিউটি, বিডি বাজার বিউটি, বিউটি এশিয়াসহ বিভিন্ন কসমেটিকস ব্যবসায়ী প্রতিনিধিরা।

    Please Share This Post in Your Social Media

    Leave a Reply

    Your email address will not be published. Required fields are marked *

    More News Of This Category
    © সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
    ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: CloudVai-ক্লাউড ভাই