আগামী নির্বাচন ও অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জের মুখে বাংলাদেশ: জাতিসংঘ - মুক্ত আকাশ
    শনিবার, ২২ মার্চ ২০২৫, ০৫:৫৯ অপরাহ্ন
    শিরোনাম:
    চট্টগ্রামে যুবদল-ছাত্রদলের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ২ জন গুলিবিদ্ধ, ওসি প্রত্যাহার চট্টগ্রামে বন্য হাতির আক্রমণে শিশুর মৃত্যু, প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ সংস্কার ও নির্বাচন প্রক্রিয়া একসঙ্গে চলতে পারে: মির্জা ফখরুল লেবার পার্টি ও খেলাফত মজলিসের সঙ্গে কমিশনের বৈঠক চলছে নির্বাচন পিছিয়ে যাবে, অনিশ্চয়তা তৈরি হবে এমন কোন শঙ্কা নেই আ,লীগের পুনর্বাসন জনগণ মেনে নেবে না বলে হুঁশিয়ারি জামায়াতের আ,লীগকে রাজনীতিতে ফেরাতে একাধিক রাজনৈতিক দল তৎপর আ,লীগ নেতাকর্মীদের মধ্যে যারা কোন অপরাধের সাথে জড়িত নয়,তাদের রাজনীতিতে বাধা নেই গাজায় ইসরায়েলি হামলার পূর্ণ সমর্থন রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের হিথ্রো বিমানবন্দরের কাছে বিদ্যুৎ কেন্দ্রে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড

    আগামী নির্বাচন ও অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জের মুখে বাংলাদেশ: জাতিসংঘ

    • Update Time : মঙ্গলবার, ৪ এপ্রিল, ২০২৩
    • ২৮ Time View

    আন্তর্জাতিক ডেস্ক: বিদ্যমান অর্থনৈতিক চাপ সামাল দেয়া এবং আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রস্তুতিকে বাংলাদেশের চলতি বছরের অন্যতম প্রধান চ্যালেঞ্জ হিসেবে চিহ্নিত করেছে জাতিসংঘ। মঙ্গলবার প্রকাশিত জাতিসংঘের বাংলাদেশ বিষয়ক মূল্যায়ন রিপোর্ট-২০২২ এ ওই চ্যালেঞ্জ চিহ্নিত করা হয়। রিপোর্টে বলা হয়, বিষয়গুলো বিবেচনায় রেখেই ঢাকার জাতিসংঘ টিম কাজ করছে। দেশের সার্বিক শ্রমমান ও মানবাধিকার পরিস্থিতি উন্নয়নে জাতিসংঘের কার্যক্রমের কথা জানিয়ে মূল্যায়ন রিপোর্টে বলা হয় নতুন বছর বাংলাদেশের সামনে প্রধান কতোগুলো চ্যালেঞ্জ এবং সম্ভাবনা নিয়ে এসেছে। বিশ্বজুড়ে করোনা মহামারি, ইউক্রেন যুদ্ধ, অবনতিশীল জলবায়ু সংকট থেকে পুনরুদ্ধারের চেষ্টা চলছে।

    তার পাশাপাশি বাংলাদেশের সামনে অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং শক্তিশালীকরণ, আগামী নির্বাচনের প্রস্তুতি, ২০২২ সালের বিপর্যয়কর বন্যা থেকে পুনরুদ্ধার, সম্প্রতি আইএমএফের ঋণ সংক্রান্ত সংস্কার কার্যক্রম হলো প্রধান চ্যালেঞ্জ। এতে আরও বলা হয়, ২০২৬ সালে বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে গ্রাজুয়েশনে যাচ্ছে। তাই জাতিসংঘের বিভিন্ন এজেন্সি এবং অন্য অংশীদারদের সহযোগিতায় সরকার দেশের টেকসই উন্নয়নের গুরুত্বপূর্ণ এসব মাইলফলক স্থাপনের জন্য কাজ করবে। সরকারের এসব অগ্রাধিকারের আলোকে সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে সহযোগিতা দেয়ার দিকে দৃষ্টি দেবে বাংলাদেশে জাতিসংঘ কান্ট্রি টিম (ইউএনসিটি)। ২০২৩ সালের মার্চে দোহা’তে স্বল্পোন্নত দেশ বিষয়ক পঞ্চম ইউনাইটেড নেশনস কনফারেন্সের পর সরকার এলডিসি থেকে গ্রাজুয়েশনের জন্য স্মুথ ট্রানজিশন স্ট্যাটেজি গ্রহণ করবে।

    এই প্রক্রিয়ায় ঘনিষ্ঠভাবে পরামর্শ করা হবে সরকার, বেসরকারি খাত, সুশীল সমাজ, উন্নয়ন অংশীদারদের সঙ্গে। তাতে এলডিসি মর্যাদা বিষয়ক বিভিন্ন পদক্ষেপে আন্তর্জাতিক সমর্থনের জন্য প্রয়োজনীয় পরিবর্তন নিয়ে আলোচনা করা হবে। এক্ষেত্রে সরকারকে সহায়তা করবে ইউএনসিটি। ফলে সুবিধা পাবেন সবচেয়ে অনগ্রসর মানুষরা। পরিবেশ, শ্রম, মানবাধিকারের মানদণ্ড নিয়ে বেসরকারি খাতের প্রস্তুতিতে সমর্থন দিতে উন্নয়ন অংশীদারদের সঙ্গে কাজ করবে ইউএনসিটি।
    জাতিসংঘ এবং অন্যরা কাজ না করলে বাংলাদেশের এ অর্জন-
    সম্ভব হতো না- রিপোর্টে জাতিসংঘ বলছে, বাংলাদেশের জনগণ ও সরকারের সঙ্গে বহু বছর ধরে জাতিসংঘ সফলতার সঙ্গে কাজ করেছে। ঘনিষ্ঠ অংশীদারিত্ব ও বন্ধুত্ব অব্যাহত রাখার প্রত্যাশা ব্যক্ত করে সংস্থাটির তরফে বলা হয়।
    ২০৩০ সাল নাগাদ টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যসমূহ নিয়ে এগিয়ে চলা ও সেগুলো অর্জন করার পাশাপাশি ২০২৬ সাল নাগাদ স্বল্পোন্নতদেশের (এলডিসি) ক্যাটাগরি থেকে উত্তীর্ণ হওয়ার প্রস্তুতিতে বাংলাদেশকে সহায়তা করার জন্য নবোদ্যমে প্রয়াস চালানো আবশ্যক। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশে কর্মরত জাতিসংঘ কান্ট্রি টিমের (ইউএনসিটি) পক্ষ হতে আমি ২০২২ সালেরবার্ষিক জাতিসংঘ কান্ট্রি টিম ফলাফলসমূহ সংক্রান্ত প্রতিবেদন উপস্থাপন করতে পেরে আনন্দিত জানিয়ে রিপোর্টে বলা হয়, উক্ত প্রতিবেদনে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যসমূহ পূরণে অগ্রগতি অর্জনের লক্ষ্যে বাংলাদেশ সরকারকে সহায়তা করার ক্ষেত্রে বাংলাদেশস্থ জাতিসংঘ কার্যালয়ের পাশাপাশি বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগী কর্তৃক ২০২২ সালে অর্জিত ফলাফলসমূহ এর উপর একটি সার্বিক পর্যবেক্ষণ তুলে ধরা হয়েছে। জাতিসংঘ যদি অন্যদের সাথে সহযোগিতার ভিত্তিতে কাজ না করতো তাহলে ২০২২ সালে বাংলাদেশস্থ জাতিসংঘ যে ফলাফল অর্জন করেছে, তা অর্জন করতে সক্ষম হতো না।
    জাতিসংঘ প্রতিনিধিকে উদ্ধৃত করে বলা হয়- তিনি সুশীল সমাজ, বেসরকারি সংস্থাসমূহ, ব্যক্তি মালিকানাধীন খাত ও জাতিসংঘ সদস্য রাষ্ট্রসমূহের মধ্য হতে আগত আমাদের সকল উন্নয়ন সহযোগীকে তাদের উদার অবদান ও গতিশীল সহযোগিতার জন্য ধন্যবাদ জানান। রিপোর্টে সুশীল সমাজ, বেসরকারি সংস্থাসমূহ (এনজিও), ব্যক্তি মালিকানাধীন খাত ও বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগীসহ জাতিসংঘের অসংখ্য অংশীদার যারা জাতিসংঘের সাফল্যকে সম্ভব করে তুলেছে, তাদের অবদানকে স্বীকৃতি দিতে পেরে জাতিসংঘ দূত আনন্দিত।

    Please Share This Post in Your Social Media

    Leave a Reply

    Your email address will not be published. Required fields are marked *

    More News Of This Category
    © সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
    ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: CloudVai-ক্লাউড ভাই