শরীফ হায়দার শিবলু: মধ্যবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের লোকজন গরুর মাংসের স্বাদ ভুলে সাংসারিক খরচের লাগম টানতে ব্রয়লার মুরগির উপর নির্ভরতা বাড়ালেও বর্তমানে ব্রয়লার মুরগির দাম অতিরিক্ত বৃদ্ধির কারনে মধ্যবিত্ত ও নিম্নমধ্যবিত্ত লোকজন পরিবারের খরচ বাড়লেও আয় ক্ষমতা না বাড়ায় এবার ব্রয়লায় মুরগিও বাদ দিয়েছে খাদ্য তালিকা থেকে! সংশ্লিষ্ট দপ্তর গুলোর বাজার নিয়মিত মনিটরিং এর অভাবে কিছু অসাধু ব্যাবসায়ীদের সিন্ডিকেটের কারনে তার ফল ভোগ করতে হচ্ছে সাধারণ মানুষদের। সপ্তাহের প্রতিদিনই বাড়ছে ব্রয়লার মুরগির দাম।
গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে দাম বেড়েছে প্রায় ৬০ টাকা। আজ শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৫০-২৬০ টাকা দরে। বাজারে গিয়ে ব্রয়লার মুরগির দাম শুনে ক্রেতাদের চোখ কপালে ওঠার মতো অবস্থা। অনেকে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তালিকা থেকে ব্রয়লার মুরগি বাদ দিয়ে কম দামের মাছ কিনেই বাড়ি ফিরেন তারা। শুধু ব্রয়লার মুরগি নয়, নিত্যপ্রয়োজনীয় প্রায় সব পণ্যই দিনদিন মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে যাচ্ছে।
এদিকে রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে গরুর মাংসের কেজি ৫০ টাকার মতো বেড়েছে। প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ টাকা দরে। খাসির মাংসের দাম প্রতিকেজি ১১শ টাকা। আর বকরির মাংস ৯০০ টাকা।
অন্যদিকে চট্টগ্রাম শহরের বিভিন্ন বাজারের মাছ-মাংস সহ অন্যান্য ভোগ্যপণ্যের দাম রাজধানী ঢাকার চাইতে বেশী দামে বিক্রি হচ্ছে। চট্টগ্রাম শহরের বিভিন্ন মার্কেটের কাঁচা বাজার গুলোতে গরুর মাংস প্রতি কজি বিক্রি হচ্ছে ৯০০ টাকায়।
অন্যদিকে মুদি বাজারে তেল, চিনি, আটা, ময়দা, গুঁড়া দুধসহ অন্যান্য বেশকিছু পণ্য বাড়তি দামে আটকে রয়েছে। সপ্তাহের ব্যবধানে নতুন করে বেড়েছে ডাল ও ছোলার দাম। প্রতি কেজি ছোলা বিক্রি হচ্ছে ১০০-১০৫ টাকা দরে, যা গত সপ্তাহে ৯০-৯৫ টাকা ছিল। একইভাবে প্রতি কেজি ১০ টাকা বেড়ে বুটের ডাল ৯৫-১০০ এবং মাসকলাইয়ের ডাল ১৫৫-১৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে বাজারে শীতের সবজির দাম ১০-২০ টাকা বেড়েছে। আর গ্রীষ্মের যে নতুন সবজি এসেছে তাতে হাত দেওয়ার অবস্থা নেই। প্রতিকেজি বেগুন ৮০ টাকা, করলা ১২০ টাকা, বরবটি ১২০ টাকা, পটল ১২০ টাকা, ঝিঙা ৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
অন্যদিকে বাজারে এখন পেঁয়াজের দাম কম থাকলেও কমেনি আদা-রসুনের দাম। প্রতিকেজি আদা বিক্রি হচ্ছে মানভেদে ১৪০-২৮০ টাকা ও রসুন ১৬০-২২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
Leave a Reply