বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার সুষ্ঠু চিকিৎসা বাংলাদেশে সম্ভব নয়। রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।
আজ শুক্রবার (২৪ জুন) খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য গঠিত মেডিকেল বোর্ড প্রধান প্রফেসর ডা. এফ এম সিদ্দিকী বলেন, সবশেষ ৪৮ ঘণ্টার পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বুকে পানি জমছে না। সবশেষ ২ সপ্তাহে আর তার হার্ট অ্যাটাক হয়নি। তাই কোভিড সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে তাকে বাসায় পাঠানো হচ্ছে।
তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার ঝুঁকি হলো ব্লিডিং হতে পারে। বিদেশ নেয়ার মতো এখনো তার সক্ষমতা আছে। তিনি লিভার সিরোসিসসহ বেশ কিছু জটিলতায় ভুগছেন। উনার কোনও চিকিৎসাই করা সম্ভব হয়নি। বিএনপি চেয়ারপারসনের সার্বিক সুষ্ঠু চিকিৎসা বাংলাদেশে সম্ভব নয়।
ডা. এফ এম সিদ্দিকী বলেন, ব্লিডিংয়ের ঝুঁকি মাথায় রেখেই খালেদা জিয়াকে বাসায় ফেরত পাঠানো হচ্ছে। বিকেল ৫টা থেকে ৬টার মধ্যে ডিসচার্জড করা হবে। এরপর তার স্বজনরা ঠিক করবেন কখন বের হবেন।
খালেদা জিয়ার চিকিৎসক প্রফেসর ডা. শাহাবুদ্দিন তালুকদার বলেন, খালেদা জিয়ার শারীরিক চ্যালেঞ্জ অন্য জায়গায়। সাধারণত রিং বসালে প্লাটিলেট দিতে হয়। কিন্তু উনি লিভার সিরোসিসের রোগী। এরকম নানামুখী চ্যালেঞ্জ আছে।
তিনি বলেন, কোভিড সংক্রমণ বাড়ছে ৷ তাই খালেদা জিয়াকে আপাতত বাসায় ফেরত পাঠাতে চাচ্ছি। উনি যে অবস্থায় এসেছিলেন হাসপাতালে, সেটার চেয়ে এখন ভালো আছেন। তার আরও উন্নত চিকিৎসার জন্য অতি আধুনিক শৃঙ্খলিত চিকিৎসা পদ্ধতির প্রয়োজন।
Leave a Reply