আন্তর্জাতিক ডেস্ক: গত দুই নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক না হবার অভিযোগ তুলে পর্যবেক্ষক পাঠায়নি ইউরোপীয় ইউনিয়ন। তবে আসছে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করতে চায় ২৭ দেশের এই জোট। নির্বাচন সুষ্ঠু না হলে এবারও পর্যবেক্ষণে পাঠাবেনা ইইউ। ১৬ ফেব্রুয়ারি সেই ইচ্ছার কথা চিঠি লিখে জানায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেনকে। ঐদিনই ঢাকার ইইউ প্রধানসহ জোটের অন্যান্য রাষ্ট্রদূতরা বৈঠক করে আওয়ামী লীগের সাথে।
এর আগে জানুয়ারিতে নির্বাচন কমিশনের সাথে বৈঠকে, নির্বাচনী পর্যবেক্ষক ও কারিগরি সহযোগিতার কথা জানায় ইইউ। আগামী নির্বাচন হবে অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক, এটাই চান তারা।
সেই ধারাবাহিকতায় এবার বিএনপির সাথে বৈঠক করেছে ইইউ। রোববার (১২ মার্চ) ইইউ ডেলিগেশনের প্রধানের বাসায় হওয়া বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, জোটের অন্যান্য রাষ্ট্রদূত। যেখানে নির্বাচন নিয়ে নিজেদের অবস্থানের কথা তুলেন ধরেন ইইউ প্রধান। এসময় বিএনপির নেতৃবৃন্দের কথাও শুনলেন তারা।
এ সময় চার্লস হোয়াইটলি বলেন, আসছে নির্বাচনে ইইউ পর্যবেক্ষক পাঠাতে প্রস্তুত। বিএনপিকে বলেছি ইইউ-এর হাই-রিপ্রেজেন্টিভ জানিয়েছেন বাংলাদেশ এক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবে। আর এটা তখনই হবে যখন নির্বাচন হবে অংশগ্রহণমূলক। নিশ্চিত হবে বিএনপির অংশগ্রহণ। আর বিএনপির অবস্থান পরিষ্কার করেছে যা সবারই জানা, তত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন চায় দলটি। আমরা শুনেছি তাদের দাবিগুলো। চার্লস আরও জানান, আগামীতে অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোর সাথেও বৈঠক হবার কথা রয়েছে।
Leave a Reply