চট্টগ্রাম ব্যুরোঃ চট্টগ্রাম থেকে শরীফ হায়দার শিবলুঃ দশ দফা দাবিতে বিক্ষোভ কর্মসূচিতে যোগ দেয়ার সময় চট্টগ্রাম মহানগরীর কাজির দেউড়িতে পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। বিএনপি নেতাকর্মীরা বিভিন্ন স্থানে অগ্নিসংযোগ করেছে বলে দাবি পুলিশের। এ ঘটনায় বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ ২০ জনকে আটক করেছে।
তবে পুলিশই এ হামলা চালিয়েছে বলে পাল্টা অভিযোগ করেছে বিএনপি। নগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘ব্যারিকেড ডিঙিয়ে আসার সময় পুলিশ আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর লাঠিচার্জ করেছে।’
আজ সোমবার বিকেল ৩টায় নগরীর কাজির দেউড়ি এলাকায় সংঘর্ষ শুরু হয়। সংঘর্ষে পুলিশের ট্রাফিক ইনস্পেক্টর বিপ্লব সরকার ও পরিদর্শক (তদন্ত) আতিকুর রহমানসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশের দাবি, সংঘর্ষের সময় বিএনপির নেতাকর্মীরা পুলিশের একটি মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দিয়েছে। আশপাশের বেশ কয়েকটি দোকানও ভাঙচুর করা হয়। পরে ধাওয়া দিয়ে বিএনপির অন্তত ২০ জনকে আটক করা হয়েছে।
আজ (১৬ জানুয়ারী) সোমবার বিকেল ৩টা থেকে নগরীর নুর আহমদ সড়কে অবস্থিত বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে বিএনপির সমাবেশ চলছিল। নগরীর বিভিন্ন এলাকা থেকে মিছিল নিয়ে সেখানে যোগ দিচ্ছিল বিএনপির নেতাকর্মীরা।
একটি মিছিল সমাবেশের অদূরে কাজির দেউড়ি মোড়ে এলে পুলিশ মিছিলে বাধা দিলে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে বিএনপির নেতাকর্মীর সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষের খবর ছড়িয়ে পড়লে সমাবেশ থেকেও বিএনপির নেতাকর্মীরা এসে সংঘর্ষে যোগ দেয়। এ সময় পুরো এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।
বিএনপির নেতাকর্মীরা ইট ও লাঠি নিয়ে চড়াও হয় পুলিশের ওপর। পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে ও ফাঁকা গুলি ছুড়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এ সময় পথচারীরা আতঙ্কিত হয়ে এদিক-ওদিক ছুটতে থাকে। সংঘর্ষের পরে একটি সাঁজোয়া যান নিয়ে বিএনপির অফিসের সামনে অবস্থান নেয় পুলিশ।
সিএমপির পুলিশের উপ কমিশনার (দক্ষিণ) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘অফিসের সামনে বিএনপির সমাবেশ চলছিল। কিন্তু তারা কাজির দেউড়ি মোড়ে পুলিশের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এতে অনেক পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। ২০ জনের মতো আটক করা হয়েছে। জড়িতদের গ্রেপ্তারে আমাদের অভিযান চলছে।
সিএমপির পুলিশের উপ কমিশনার (দক্ষিণ) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘অফিসের সামনে বিএনপির সমাবেশ চলছিল। কিন্তু তারা কাজির দেউড়ি মোড়ে পুলিশের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এতে অনেক পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। ২০ জনের মতো আটক করা হয়েছে। জড়িতদের গ্রেপ্তারে আমাদের অভিযান চলছে।
তবে পুলিশই হামলা চালিয়েছে বলে পাল্টা অভিযোগ করেছেন নগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন। তিনি বলেন, ‘কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে দলীয় কার্যালয়ের সামনে শান্তিপূর্ণ সমাবেশ চলছিল। কাজির দেউড়ি থেকে যুবদলের একটি মিছিল সমাবেশের দিকে আসার সময় পুলিশ ব্যারিকেড দেয়। ব্যারিকেড ডিঙিয়ে আসার সময় পুলিশ আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর লাঠিচার্জ করে। এতে আমাদের ১৫-২০ জন আহত হয়েছেন
Leave a Reply