মহান সৃষ্টিকর্তা পবিত্র কুরআনে ইরশাদ করেন, মুমিনগণ,জুমআর দিনে যখন নামাযের আযান দেয়া হয়,তখন তোমরা আল্লাহর ইবাদতের জন্য দ্রুত যাও এবং বেচাকেনা বন্ধ কর।এটা তোমাদের জন্যে উত্তম যদি তোমরা বুঝ।
সূরা-আল জুমা আয়াত ৯।
জুমার দিনের ফজিলত-
১) রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, মুমিনের জন্য জুম’আর দিন হল সাপ্তাহিক ঈদের দিন।
২) জুম’আর দিনটি ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহার দিনের চেয়েও শ্রেষ্ঠ দিন। এ দিনটি আল্লাহর কাছে অতি মর্যাদা সম্পন্ন।
৩) হে মুসলমানগণ, জুম‘আর দিনকে আল্লাহ্ তা’আলা তোমাদের জন্য (সাপ্তাহিক) ঈদের দিন হিসাবে নির্ধারণ করেছেন। হে মুসলমানগণ, জুমার দিনকে আল্লাহ্ তা’আলা তোমাদের জন্য (সাপ্তাহিক) ঈদের দিন হিসাবে নির্ধারণ করেছেন।। তোমরা এদিন মিসওয়াক কর, গোসল কর ও সুগন্ধি লাগাও।
৪) মুসলমানদের জন্য এ জুমার নামাজের দিনটিকে সম্মান করার জন্য ইহুদী-নাসারাদের উপর ফরজ করা হয়েছিল; কিন্তু তারা মতবিরোধ করে এই দিনটিকে প্রত্যাখ্যান করেছিল। অতঃপর ইহুদীরা শনিবারকে আর খ্রিষ্টানরা রবিবারকে তাদের ইবাদতের দিন বানিয়েছিল। অবশেষে আল্লাহ তায়ালা এ উম্মতের জন্য শুক্রবারকে মহান দিবস ও ফযীলতের দিন হিসেবে দান করেছেন।
৫) জান্নাতে প্রতি জুমার দিনে জান্নাতীদের হাট বসবে। জান্নাতী লোকেরা সেখানে প্রতি সপ্তাহে একত্রিত হবেন। তখন সেখানে এমন মনমুগ্ধকর হাওয়া বইবে, যে হাওয়ায় জান্নাতীদের সৌন্দর্য অনেক গুণে বেড়ে যাবে এবং তাদের স্ত্রীরা তা দেখে অভিভূত হবে। অনুরূপ সৌন্দর্য বৃদ্ধি স্ত্রীদের বেলায়ও হবে।
৬) রাসূলুল্লাহ (সঃ) বলেন, সূর্য উদিত হয় এরুপ দিনগুলোর মধ্যে জুম’আর দিনটিই হল সর্বোত্তম।
এই দিনেই আদম (আঃ) কে সৃষ্টি করা হয়েছিল।
(২)এই দিনে তাঁকে জান্নাতে প্রবেশ করানো হয়েছিল এবং এই দিনেই তাঁকে জান্নাত থেকে বের করে দেওয়া হয়েছিল।
এই দিনে তাঁকে দুনিয়াতে পাঠানো হয়েছিল,
এই দিনেই তাঁর তওবা কবুল করা হয়েছিল এবং
এই দিনেই তাঁর রূহ কবজ করা হয়েছিল।
এই দিনেই শিঙ্গায় ফুঁক দেওয়া হবে।
এই দিনেই কিয়ামত হবে।
এই দিনেই সকলেই বেহুঁশ হয়ে যাবে। এবং ফেরেশতাগন,আকাশ,পৃথিবী,বাতাস,পর্বত ও সমুদ্র সবই পবিত্র এই জুমার দিনে শংকিত হয়।
Leave a Reply