দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে ওয়ানডে সিরিজ জিততে বাংলাদেশকে করতে হবে ১৫৫ রান। সিরিজ নির্ধারণী তৃতীয় ম্যাচে আগে ব্যাট করে ৩৭ ওভারে প্রোটিয়ারা গুটিয়ে গেছে ১৫৪ রানে। পেসার তাসকিন আহমেদ নিয়েছেন ৫ উইকেট। দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে এর আগে কোনো সিরিজ জেতার নজির নেই বাংলাদেশের।
৭ ওভারে বিনা উইকেটে ২৮ রান সংগ্রহ করেছে বাংলাদেশ। তামিম ১১ ও লিটন অপরাজিত ১৬ রানে।
প্রথমে কাইল ভেরাইনা, তারপর ইয়ানেমান মালান। নিজের পরপর দুই ওভারে দুই প্রোটিয়া ব্যাটারকে তুলে নেন তাসকিন আহমেদ। ১৩তম ওভারের তৃতীয় বলে ৯ রান করা ভেরাইনাকে বোল্ড করেন তিনি। এরপর ১৫তম ওভারে এসে তুলে নেন ওপেনার মালানকে। ৫৬ বলে ৩৯ রান করেছেন মালান।
চাপে থাকা দক্ষিণ আফ্রিকা শিবিরে চতুর্থ আঘাত হানেন সাকিব। দলীয় ৭১ রানে তিনি এলবির ফাঁদে ফেলেন অধিনায়ক টেম্বা বাভুমাকে (২)। এর আগে দলীয় ৪৬ রানে কুইন্টন ডি কককে (১২) সাজঘরে ফিরিয়ে প্রথম সাফল্য এনে দিয়েছিলেন মেহেদী হাসান মিরাজ।
১৯তম ওভারের প্রথম বলেই শরীফুল ইসলাম দারণ এক ডেলিভারিতে আউট করেন রাসি ভ্যান ডার ডুসেনকে (৪)। লাফিয়ে ওঠা বল ডিফেন্স করতে গিয়ে মিরাজের হাতে ক্যাচ তুলে নেন ডুসেন। ৮৩ রানে পঞ্চম উইকেট হারায় দক্ষিণ আফ্রিকা।
২৫তম ওভারে এসে নিজের তৃতীয় সাফল্য দেখেন তাসকিন আহমেদ। দলীয় ১০৭ রানে ফেরান ডোয়াইন প্রিটোরিয়াসকে। ২৯ বলে ২০ রান করে প্রিটোরিয়াস। ডানহাতি পেসার নিজের চতুর্থ শিকার বানান ডেভিড মিলারকে। দলীয় ১২২ রানে মুশফিকের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন মিলার। ৩১ বলে ১৬ রান করেন তিনি। ওই ওভারেই তাসকিন রাবাদাকে তুলে নিয়ে দেখা পান ৫ উইকেটের।
দলীয় ১৪৪ রানে লুঙ্গি এনগিডিকে নিজের দ্বিতীয় শিকার বানান সাকিব। এরপর আর ১০ রান যোগ করে অলআউট হয় দক্ষিণ আফ্রিকা। শেষ ব্যাটার হিসেবে রানআউট হয়ে ফেরেন কেশব মহারাজ। ৩৯ বলে তার সংগ্রহ ২৮ রান।
সেঞ্চুরিয়নে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজ নির্ধারণী তৃতীয় ওয়ানডেতে টসে হেরে
ফিল্ডিংয়ে নামে বাংলাদেশ দল। সেঞ্চুরিয়নেই সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে ব্যাটে-বলে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দেখায় বাংলাদেশ। ৩৮ রানের জয়ে সিরিজে এগিয়ে যায় তামিমরা। কিন্তু জোহানেসবার্গে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ৭ উইকেটের জয়ে সিরিজে সমতা আনে প্রোটিয়ারা।
Leave a Reply