দেশের অর্থনীতি দূর্বল হতে শুরু করেছে! - মুক্ত আকাশ
    শনিবার, ২২ মার্চ ২০২৫, ০৬:২২ অপরাহ্ন
    শিরোনাম:
    চট্টগ্রামে যুবদল-ছাত্রদলের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ২ জন গুলিবিদ্ধ, ওসি প্রত্যাহার চট্টগ্রামে বন্য হাতির আক্রমণে শিশুর মৃত্যু, প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ সংস্কার ও নির্বাচন প্রক্রিয়া একসঙ্গে চলতে পারে: মির্জা ফখরুল লেবার পার্টি ও খেলাফত মজলিসের সঙ্গে কমিশনের বৈঠক চলছে নির্বাচন পিছিয়ে যাবে, অনিশ্চয়তা তৈরি হবে এমন কোন শঙ্কা নেই আ,লীগের পুনর্বাসন জনগণ মেনে নেবে না বলে হুঁশিয়ারি জামায়াতের আ,লীগকে রাজনীতিতে ফেরাতে একাধিক রাজনৈতিক দল তৎপর আ,লীগ নেতাকর্মীদের মধ্যে যারা কোন অপরাধের সাথে জড়িত নয়,তাদের রাজনীতিতে বাধা নেই গাজায় ইসরায়েলি হামলার পূর্ণ সমর্থন রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের হিথ্রো বিমানবন্দরের কাছে বিদ্যুৎ কেন্দ্রে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড

    দেশের অর্থনীতি দূর্বল হতে শুরু করেছে!

    • Update Time : বুধবার, ৬ এপ্রিল, ২০২২
    • ৫৪ Time View

    পরিস্থিতি শ্রীলঙ্কার মতো নয়, তবে আন্তর্জাতিক পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি ও অভ্যন্তরীণ অব্যবস্থাপনার কারণে ভেতর থেকে বাংলাদেশের অর্থনীতিতেও ক্ষত তৈরি হচ্ছে। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি আগের চেয়ে দুর্বল হতে শুরু করেছে।

    পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর‌ বলেন, দেশের রিজার্ভ কমে যাচ্ছে। তবে এখন পর্যন্ত শ্রীলঙ্কার মতো ভয়ের কারণ নেই। অবশ্য এটা তো ঠিক, পরিস্থিতি আগের চেয়ে দুর্বল হতে শুরু করেছে। সামষ্টিক অর্থনীতিও আগের মতো শক্ত নয়। দেশের চলতি হিসাবে বিশাল ঘাটতি, যা শ্রীলঙ্কারও আছে। এবার যে ঘাটতি হতে যাচ্ছে, তা বাংলাদেশের সর্বোচ্চ। সুতরাং উদ্বেগের কিছু জায়গা তৈরি হয়েছে।

    তিনি আরও বলেন, এ অবস্থায় ডলারের বিনিময় হারে সমন্বয় দরকার ছিল, কিন্তু হয়নি। সর্বশেষ হিসাবে আমদানি বেড়েছে ৫৪ শতাংশ হারে।

    এই হারে যদি আমদানি বাড়ে, তবে চলতি অর্থবছর শেষে তা ১০ হাজার কোটি ডলার হবে। এটা ভয়ানক উচ্চমাত্রার। আমাদের ৬ হাজার কোটি ডলারের বেশি আমদানি ব্যয় কখনও হয়নি। এই প্রবণতা যদি আর এক বছর চলে, তাহলে আমাদের বৈদেশিক মুদ্রার মজুতও শেষ হয়ে যাবে।

    কমছে রিজার্ভ
    বাংলাদেশ ব্যাংকে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ এখন ৪ হাজার ৪২৫ কোটি (৪৪ বিলিয়ন) ডলারে নেমে এসেছে। ছয় মাস আগেও প্রায় ৪৯ বিলিয়ন ডলারের রেকর্ড উচ্চতায় ছিল রিজার্ভ।

    এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) ২ দশমিক ১৬ বিলিয়ন (২১৬ কোটি) ডলারের রেকর্ড আমদানি বিল পরিশোধের পর গত ৬ মার্চ রিজার্ভ ৪৩ দশমিক ৮৯ বিলিয়ন ডলারে নেমে আসে। যা ছিল গত এক বছরের মধ্যে সবচেয়ে কম।

    রফতানি আয় ও রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়ায় একমাসে আবার বেড়ে ৩১ মার্চ তারিখে ৪৪ বিলিয়ন ডলারে উঠেছে রিজার্ভ।

    এখনকার আমদানির খরচ হিসাবে এই রিজার্ভ দিয়ে পাঁচ মাসের কিছু বেশি সময় আমদানি ব্যয় মেটানো সম্ভব হবে। অথচ ছয় মাস আগেও ১০ মাসের আমদানি খরচ মেটানোর রিজার্ভ ছিল বাংলাদেশ ব্যাংকে।

    চাপ বাড়ছে অর্থনীতিতে
    আগের অর্থবছরে যেখানে চলতি হিসাবের ভারসাম্য ছিল বাংলাদেশের অনুকূলে, এবার তা ঋণাত্মক।

    আগের অর্থবছরেও প্রথম সাত মাসে প্রবাসী আয়ে ছিল বড় প্রবৃদ্ধি, এবার সেটিও উল্টোদিকে।

    যার মানে হলো, দেশে এখন যে পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা আসছে তারচেয়ে ব্যয় হচ্ছে ঢের বেশি। এতে করে পরে রিজার্ভের অর্থ অবকাঠামো প্রকল্পে খরচ করার সুযোগ কমে আসবে। বিশেষ করে বড় প্রকল্পে অর্থ ব্যয়, দায় পরিশোধ ও সামষ্টিক অর্থনীতির সূচক নিয়ে এখনই সতর্ক থাকতে বলছেন বিশেষজ্ঞরা।

    ১২৫ শতাংশ বাণিজ্য ঘাটতি
    বাণিজ্য ঘাটতি রেকর্ড পরিমাণে বেড়ে যাওয়ায় মূল্যস্ফীতি ও ডলারের দাম আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করছেন গবেষক ও ব্যবসায়ীরা।

    বর্তমানে বাণিজ্য ঘাটতি রেকর্ড পরিমাণ ১২৫ শতাংশ বেড়েছে। তার ওপর রেমিটেন্স প্রবাহ ক্রমান্বয়ে কমায় চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে বৈদেশিক মুদ্রার চলতি হিসাবের ভারসাম্য নেতিবাচক এসেছে।

    বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যানুযায়ী, চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে আমদানি হয়েছে ৩ হাজার ৮৯৭ কোটি ডলারের। যা আগের বছর ছিল ২ হাজার ৫২২ কোটি ৬০ লাখ ডলার।

    গত বছর জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত বাণিজ্য ঘাটতি ছিল ৬৮৭ কোটি ৩০ লাখ ডলার। চলতি বছরে যা ১ হাজার ৫৬১ কোটি ৬০ লাখ ডলারে দাঁড়িয়েছে। সেই হিসাবে ডিসেম্বর পর্যন্ত বাণিজ্য ঘাটতি ১২৫ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।

    ডলার সংকট
    বেশ কয়েক মাস ধরে দেশের বাজারে মার্কিন ডলারের দাম অস্থিতিশীল। আগের যেকোনও সময়ের চেয়ে টাকার বিপরীতে শক্তিশালী অবস্থায় এ মুদ্রার।

    সর্বশেষ গত ২৩ মার্চ বাংলাদেশ ব্যাংক ডলারের বিপরীতে স্থানীয় টাকার মান কমিয়েছে। এদিন প্রতি ডলার ৮৬ থেকে বাড়িয়ে ৮৬ টাকা ২০ পয়সা নির্ধারণ করা হয়েছে। এতে রফতানিকারক ও প্রবাসীরা লাভবান হলেও আমদানিকারকদের খরচ বাড়ছে।

    এর আগে জানুয়ারির শুরুতে ডলারের মূল্য ২০ পয়সা বাড়িয়ে ৮৬ টাকা করেছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

    ব্যাংকাররা বলছেন, ডলার নিয়ে দেশের মুদ্রাবাজার এখন অস্থির। সরবরাহ নেই, অথচ চাহিদা তুঙ্গে। এর প্রভাব পড়ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভে।

    পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ ব্যাংক ডলার বিক্রি করে ব্যাংক থেকে টাকা তুলে নিচ্ছে। এতে ব্যাংকগুলোতেও টাকার সংকট তৈরি হচ্ছে।

    Please Share This Post in Your Social Media

    Leave a Reply

    Your email address will not be published. Required fields are marked *

    More News Of This Category
    © সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
    ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: CloudVai-ক্লাউড ভাই