নতুন সিইসি সম্পর্কে যা জানা যাচ্ছে - মুক্ত আকাশ
    বুধবার, ১৯ মার্চ ২০২৫, ১২:৪৬ অপরাহ্ন
    শিরোনাম:
    বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে সরাসরি এড়িয়ে যায় মুখপাত্র ট্যামি ব্রুস বৃহস্পতিবার থেকে রাজনৈতিক দলের সাথে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠক শুরু চট্টগ্রামের শীর্ষ সন্ত্রাসী ১৭ মামলার আসামি সাজ্জাদের স্ত্রীর সংখ্যা ২৫ যুদ্ধ বিরতির মধ্যেই ঘরে ফেরা ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলের হামলা ফ্যাসিস্ট হাসিনার নামে বেনামে আরও ৩১ ব্যংকে হিসাব জব্দের নির্দেশ ভারতীয় করোনার টিকা আমদানি করে ২২ হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ সালমান এফ রহমানের বিরুদ্ধে উপদেষ্টারা গনঅভ্যুত্থান নিয়ে বিভাজনরেখা তৈরি করছেন: রিজভী বাংলাদেশে সৌর বিদ্যুৎ উৎপাদনে বিনিয়োগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে প্রধান উপদেষ্টাকে জানিয়েছে চীন পুলিশকে অবহেলা করে কিংবা পাশ কাটিয়ে গিয়ে দেশ গড়তে পারবো না ডিবি হেফাজতে নিহত শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমনের শরীরে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে

    নতুন সিইসি সম্পর্কে যা জানা যাচ্ছে

    • Update Time : রবিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২২
    • ৬৫ Time View

    দেশের ১৩তম নতুন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন সরকারের সাবেক সিনিয়র সচিব কাজী হাবিবুল আউয়াল। ৬৬ বছর বয়সী হাবিবুল আউয়াল পাঁচ বছর আগে সরকারি চাকরি থেকে অবসর নেন। এরপর ব্র্যাক ইউনিভার্সিটিতে আইন বিভাগে শিক্ষকতা করছিলেন তিনি। ২০১৫ সালের জানুয়ারিতে অবসরে যাওয়ার কথা ছিল তার। কিন্তু পিআরএল বাতিল করে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব হিসেবে তাকে এক বছরের চুক্তিতে নিয়োগ দেয় সরকার। ওই চুক্তির মেয়াদ ২০১৬ সালে আরও এক বছর বাড়ানো হয়। এরপর ওই মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থেকেই জ্যেষ্ঠ সচিব হিসেবে ২০১৭ সালে অবসরে যান তিনি।
    বিসিএস ১৯৮১ ব্যাচের এই কর্মকর্তা সরকারি চাকরি শুরু করেন মুনসেফ (সহকারী জজ) হিসেবে। ১৯৯৭ সালে জেলা ও দায়রা জজ হিসেবে পদোন্নতি পান।

    ২০০০ সালের ডিসেম্বরে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব হন হাবিবুল আউয়াল। ২০০৪ সালে হন অতিরিক্ত সচিব। ২০০৭ সালে পদোন্নতি পেয়ে একই মন্ত্রণালয়ের সচিব হন তিনি। সচিব হওয়ার পর ২০০৯ সালের ১৭ই ডিসেম্বর পর্যন্ত আইন মন্ত্রণালয়েই ছিলেন হাবিবুল আউয়াল। বিচার বিভাগের এই কর্মকর্তার আইন সচিব হিসেবে নিয়োগ অবৈধ ঘোষণা করে ২০১০ সালে রায় দেন আদালত। আইন মন্ত্রণালয়ের সচিব পদে হাবিবুল আউয়ালের নিয়োগের সময় নীতিমালা মানা না হওয়ায় আদালত তার নিয়োগ অবৈধ ঘোষণা করে।
    আইন সচিব থাকা অবস্থায় বিধিবহির্ভূতভাবে দুই বিচারককে অবসরে পাঠানো নিয়েও জটিলতায় জড়িয়েছিলেন হাবিবুল আউয়াল। সংসদীয় কমিটি এ জন্য তাকে তলব করলে তিনি ওই ঘটনার দায় মাথায় নিয়ে ক্ষমাও চান। ওই সব ঘটনার পর ২০১০ সালের এপ্রিলে ধর্ম সচিব করা হয় হাবিবুল আউয়ালকে। পরে জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সচিব করা হয়। ২০১৪ সালে সেখান থেকে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব করা হয়। ওই বছরই পদোন্নতি পেয়ে সিনিয়র সচিব হন তিনি।
    ২০১৫ সালের জানুয়ারিতে অবসরে যাওয়ার কথা ছিল হাবিবুল আউয়ালের। কিন্তু পিআরএল বাতিল করে তাকে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব হিসেবে এক বছরের চুক্তিতে নিয়োগ দেয় সরকার। ২০১৬ সালে আরও এক বছর বাড়ানো হয় চুক্তির মেয়াদ। এরপর ওই মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থেকেই সিনিয়র সচিব হিসেবে ২০১৭ সালে অবসরে যান তিনি।
    তিন মেয়ের জনক হাবিবুল আউয়ালের স্ত্রীর নাম সাহানা আক্তার খানম। তার আত্মজীবনীমূলক একাধিক গ্রন্থও প্রকাশিত হয়েছে। কাজী হাবিবুল আউয়াল জন্মগ্রহণ করেন ১৯৫৬ সালের ২১শে জানুয়ারি। শিক্ষাগত জীবনে দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৭৬ সালে এলএলবি ও ১৯৭৮ সালে অর্জন করেন এলএলএম ডিগ্রি। এরপর বার কাউন্সিল সনদ পান ১৯৮০ সালে। একই বছর ঢাকা জেলা বার এসোসিয়েশনের সদস্য পদ লাভ করেন। ১৯৮১ সালে বিসিএস উত্তীর্ণ হয়ে সরকারি কর্ম কমিশনের সুপারিশের ভিত্তিতে জুড়িশিয়াল সার্ভিসে যোগ দেন তিনি। এরপর ধারাবাহিক পদোন্নতি পেয়ে কাজী হাবিবুল আউয়াল জেলা জজ হন ১৯৯৭ সালে।

    কর্মজীবনে কাজী হাবিবুল আউয়াল বাংলাদেশ আইন কমিশনের সচিব, শ্রম আদালতের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন। সহকারী সচিব ও পরবর্তীতে উপ-সচিব হিসেবে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে প্রেষণেও দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
    দীর্ঘ ৩৪ বছরের সরকারি চাকরি জীবনে কাজী হাবিবুল আউয়াল দেশে-বিদেশে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ নেন। ভ্রমণ করেন যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, সুইজারল্যান্ড, চেক রিপাবলিক, পাকিস্তান, জার্মানি, অস্ট্রেলিয়া, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, নিউজিল্যান্ড, নেপাল, কানাডা, জাপান, ফ্রান্স, নরওয়ে, সুইডেন, ঘানা, সাউথ কোরিয়া, ফিলিপিন ও হংকং।
    কাজী হাবিবুল আউয়াল বিভিন্ন সংস্থায় রিসোর্স পারসন হিসেবে ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজ, পুলিশ স্টাফ কলেজ, বাংলাদেশ পাবলিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ট্রেনিং সেন্টার, ফরেন সার্ভিস একাডেমি, জুডিশিয়াল ট্রেনিং ইনস্টিটিউট-এ প্রশিক্ষণও দিয়ে আসছিলেন

    Please Share This Post in Your Social Media

    Leave a Reply

    Your email address will not be published. Required fields are marked *

    More News Of This Category
    © সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
    ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: CloudVai-ক্লাউড ভাই