নিষেধাজ্ঞার পর থেকে গুমের শিকার পরিবারের উপর প্রতিশোধ বন্ধের আহ্বান জাতিসংঘের - মুক্ত আকাশ
    শনিবার, ২২ মার্চ ২০২৫, ০৬:৩৩ অপরাহ্ন
    শিরোনাম:
    চট্টগ্রামে যুবদল-ছাত্রদলের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ২ জন গুলিবিদ্ধ, ওসি প্রত্যাহার চট্টগ্রামে বন্য হাতির আক্রমণে শিশুর মৃত্যু, প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ সংস্কার ও নির্বাচন প্রক্রিয়া একসঙ্গে চলতে পারে: মির্জা ফখরুল লেবার পার্টি ও খেলাফত মজলিসের সঙ্গে কমিশনের বৈঠক চলছে নির্বাচন পিছিয়ে যাবে, অনিশ্চয়তা তৈরি হবে এমন কোন শঙ্কা নেই আ,লীগের পুনর্বাসন জনগণ মেনে নেবে না বলে হুঁশিয়ারি জামায়াতের আ,লীগকে রাজনীতিতে ফেরাতে একাধিক রাজনৈতিক দল তৎপর আ,লীগ নেতাকর্মীদের মধ্যে যারা কোন অপরাধের সাথে জড়িত নয়,তাদের রাজনীতিতে বাধা নেই গাজায় ইসরায়েলি হামলার পূর্ণ সমর্থন রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের হিথ্রো বিমানবন্দরের কাছে বিদ্যুৎ কেন্দ্রে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড

    নিষেধাজ্ঞার পর থেকে গুমের শিকার পরিবারের উপর প্রতিশোধ বন্ধের আহ্বান জাতিসংঘের

    • Update Time : বুধবার, ১৬ মার্চ, ২০২২
    • ৪৯ Time View

    যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার পর থেকে গুমের শিকার ব্যক্তিদের পরিবার ও মানবাধিকার কর্মীদের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ বন্ধের জন্য বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক বিশেষজ্ঞরা। গত (১৪ই মার্চ) সোমবার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ আহ্বান জানান তারা।

    বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত বছরের ১০ই ডিসেম্বর র‌্যাব কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা জারির পর থেকে বাংলাদেশে গুমের শিকার ব্যক্তিদের পরিবার, মানবাধিকার কর্মী ও নাগরিক সমাজের কর্মীদের ওপর হুমকি, চাপ প্রয়োগ ও হয়রানি শুরু হয়েছে। ২০২১ সালের ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত গুমের শিকার কমপক্ষে ১০টি পরিবারের বাসায় গভীর রাতে অভিযান চালানো হয় বলে জানা গেছে।

    বিশেষজ্ঞগণের মতে, ‘অভিযানে পরিবারের সদস্যদেরকে হুমকি ও ভয় দেখানো হয় এবং হয় সাদা কাগজে তাঁদেরকে সই করতে অথবা আগে থেকেই লিখে রাখা বিবরণে, যেখানে উল্লেখ আছে যে তাঁদের পরিবারের সদস্য বলপূর্বক অন্তর্ধানের শিকার হয়নি বরং তাঁরা উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে পুলিশকে বিভ্রান্ত করেছে, সই করতে বাধ্য করা হয়। এটি অগ্রহণযোগ্য।

    পরিবার, মানবাধিকার কর্মী আর নাগরিক সমাজের উপর ক্রমবর্ধমান প্রতিকূল অবস্থা বিশেষজ্ঞগণ উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করেছেন। উর্ধ্বতন সরকারি অফিসার কর্তৃক কিছু সামাজিক সংগঠনের বিরুদ্ধে বারবার জাতিসংঘের ব্যবস্থাদির নিকট ‘মিথ্যা তথ্য দেয়ার দোষারোপ নাগরিক সমাজের মূল কাজকে ঝুঁকিপূর্ণ করে তুলেছে।

    বিশেষজ্ঞগণ বলেন, ‘আত্মীয় ও মানবাধিকার কর্মীরা যাতে তাঁদের বৈধ কাজগুলি নিরাপদ ও উৎসাহব্যঞ্জক পরিবেশে কোন হুমকি, চাপ বা প্রতিহিংসার ভয় ছাড়া করে যেতে পারে বাংলাদেশকে অবশ্যই তা নিশ্চিত করতে হবে।’ প্রকাশিত প্রতিশোধমূলক কাজগুলি অন্যদের মনে ভীতির সঞ্চার করতে পারে যা মানবাধিকার সহ জনস্বার্থ বিষয়ে রিপোর্ট দিতে বা জাতিসংঘের বা এর প্রতিনিধি এবং ব্যবস্থাদির সাথে সহযোগিতা করতে তাঁদেরকে বিরত রাখতে পারে।

    ২০০৯ সাল থেকে বেশিরভাগ গুমের ঘটনার সঙ্গে র‌্যাবের জড়িত থাকার বিষয়ে খবর হয়েছে; যা জাতিসংঘের বলপূর্বক অথবা অনৈচ্ছিক অন্তর্ধান বিষয়ক ওয়ার্কিং গ্রুপের।

    “আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে, বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষ এইসকল গুরুত্বপূর্ণ অভিযোগ সমূহের ব্যাপারে অন্তর্ধানের শিকার ব্যক্তিদের পুঙ্খানুপুঙ্খ ও বিশদ অনুসন্ধান সহ, এক্স অফিসিও, স্বাধীন, নিরপেক্ষ ও বিস্তারিত তদন্ত করার জন্য দায়বদ্ধ। একই সঙ্গে, র‌্যাব এবং অন্যান্য নিরাপত্তা সংস্থাকেও যাচাই করা ও ফৌজদারি দায় থেকে রেহাই দেওয়া উচিৎ নয়।”

    বিশেষজ্ঞগণ, ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি ও তাঁদের পরিবারকে সত্য, ন্যয়বিচার, ক্ষতিপূরণ এবং পুনরাবৃত্তি না হওয়ার নিশ্চয়তা দেওয়ার এবং তাঁদের অধিকার সংরক্ষণ ও বজায় রাখার জন্যেও বাংলাদেশ সরকারকে অনুরোধ পুনর্ব্যক্ত করেন। বিশেষজ্ঞগণ এই বিষয়ে বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ রেখেছেন।

    বিশেষজ্ঞগণ: জাতিসংঘের বলপূর্বক অথবা অনৈচ্ছিক অন্তর্ধান বিষয়ক ওয়ার্কিং গ্রুপ: মিঃ লুসিয়ানো হাজান (চেয়ার র‌্যাপোর্টিয়ার) মিস অ বালাদ (ভাইস চেয়ার), মিস গ্যাব্রিয়েলা সিট্রনি, মিঃ হেনিরিকাস মিকেভিকাস এবং ত-উং বাইক, মিঃ মরিস টিউবাল-বি, স্পেশাল র‌্যাপোর্টিয়ার অন এক্সট্রাজুডিসিয়াল, সামারি অর আর্বিটারি একজিকিউশন, নিলস মেলজার স্পেশাল র‌্যাপোর্টিয়ার অন টর্চার এন্ড আদার ক্রুয়েল ইনহিউম্যান অর ডিগ্রেডিং ট্রিমেন্ট অব পানিশমেন্ট, মিস মেরি লঅলর, স্পেশাল র্যাপোর্টিয়ার অন দি সিচুয়েশন অব হিউম্যান রাইটস ডিফেন্ডারস, এলিনা স্টেইনার্তে (চেয়ার র‍্যাপোর্টিয়ার) মিরিয়াম এস্ত্রাদা-কাষ্টিলো (ভাইস চেয়ার), মে মুম্বা মালিলা, প্রিয়া গোপালান, ওয়ার্কিং গ্রুপ অন আরবিটারি ডিটেন্সন, মিঃ ফাবিনা স্যান্ড্রিগুলি, স্পেশাল রতাপোর্টিয়ার অন দি প্রোমোশন অব ট্রুথ, জাক্টিস, রেপারাতিওন এন্ড গ্যারান্টিজ অব নন-রেকারেন্স, মিস আইরিন খান স্পেশাল র‍্যাপোর্টিয়ার অন রাইট টু ফ্রিডম অব ওপিনিয়ন এন্ড এক্সপ্রেশন, মিঃ ক্লেমেন্ত এন. ভোলে স্পেশাল র‌্যাপোর্টিয়ার অন দি রাইটস টু ফ্রিডম অব পিসফুল এসেম্বলি এন্ড এসোসিয়েশন।

    Please Share This Post in Your Social Media

    Leave a Reply

    Your email address will not be published. Required fields are marked *

    More News Of This Category
    © সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
    ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: CloudVai-ক্লাউড ভাই