সাত ম্যাচের সিরিজে ৩-২ ব্যবধানে পিছিয়ে থেকে ষষ্ঠ ম্যাচে স্বাগতিক পাকিস্তানের বিপক্ষে মাঠে নামে ইংল্যান্ড। বাবর আজমের অনবদ্য ৮৭ রানের ইনিংসে ভর করে পাকিস্তান ১৬৯ রানের পুঁজি পেলেও ফিল সল্টের ৪১ বলে ৮৭ রানের বিধ্বংসী ইনিংসে ৩৩ বল হাতে রেখে ৮ উইকেটের জয় পায় ইংল্যান্ড।
শুক্রবার (৩০ সেপ্টেম্বর) পাকিস্তানের ঘরের মাঠ গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে টস জিতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন ইংল্যান্ডের অধিনায়ক মঈন আলী। মোহাম্মদ রিজওয়ানক ও হারিস রউফকে বিশ্রামে রেখে একাদশ ঘোষণা করে পাকিস্তান।
অভিষিক্ত মোহাম্মদ হারিসকে নিয়ে ওপেনিংয়ে আসেন বাবর আজম। ইনিংসের শুরুতেই হারিসকে ফিরিয়ে মঈন আলীকে সাফল্য এনে দেন রিচার্ড গ্লিসন। এরপর দ্রুত ফিরে যান শান মাসুদও। তৃতীয় উইকেট জুটিতে হায়দার আলীকে সাথে নিয়ে ইনিংস মেরামতের কাজ চালিয়ে যান বাবর আজম। দলীয় ৬২ রানে হায়দার ফিরলে অভিজ্ঞ ইফতেখারকে নিয়ে পাকিস্তানকে এগিয়ে নিতে থাকেন বাবর আজম।
একপ্রান্ত আগলে রেখে দারুণ ব্যাটিং উপহার দিতে থাকেন বাবর আজম। ফিফটির পাশাপাশি দ্রুততম তিন হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন তিনি। ম্যাচে অপরাজিত থাকেন ৮৭ রানের অসাধারণ এক ইনিংস খেলে। দলের পক্ষে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩১ রান আসে ইফতেখারের ব্যাটে। ২০ ওভার শেষে পাকিস্তানের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৬ উইকেটে ১৬৯ রান।
১৭০ রানের জয়ের লক্ষ্যে ডু ওর ডাই ম্যাচে ইংল্যান্ডের হয়ে ওপেনিংয়ে আসেন ফিল সল্ট ও অ্যালেক্স হেলস। বড় রান তাড়ায় ইংল্যান্ডের শুরুটা হয় দুর্দান্ত। দলীয় চতুর্থ ওভারেই দলীয় ফিফটি পূর্ণ হয় সফরকারীদের। ব্যক্তিগত ২৭ রানে হেলস আউট হলে ভাঙে ৫৫ রানের উড়ন্ত জুটি। হেলস ফিরলেও একপ্রান্তে তাণ্ডব চালিয়ে যেতে থাকেন সল্ট। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ডেভিড মালানকে সাথে নিয়ে গড়েন ৭৩ রানের জুটি। ব্যক্তিগত ২৬ রানে শাদাব খানের শিকার হয়ে মালান ফিরলেও সল্ট দর্শকদের মাতিয়ে রাখেন তার আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে।
তৃতীয় উইকেট জুটিতে বেন ড্যাকেটকে সাথে নিয়ে ৪২ রানের জুটি গড়ে দলকে এনে দেন ৮ উইকেটের বড় জয়। ম্যাচে মাত্র ৪১ বলে ৮৭ রানে অপরাজিত থাকেন সল্ট। ১৭০ রানের লক্ষ্যে ইংল্যান্ড পৌঁছায় ৩৩ বল হাতে রেখেই।
Leave a Reply