চার দিনের সফরে ভারত গেলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিমানে করে নয়াদিল্লি নামার পর দেখা গেলো ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কিংবা উল্লেখযোগ্য কোনো মন্ত্রী তাকে স্বাগত জানাতে সেখানে উপস্থিত ছিলেননা। সেখানে তাকে অভ্যর্থনা জানানোর দায়িত্ব দেয়া হয় ভারতের রেল ও বস্ত্র প্রতিমন্ত্রী দর্শনা বিক্রম জারদোসকে।

২০১৮ সালে জাতীয় নির্বাচনের আগে ২০১৭ সালের জুলাই মাসে ভারত সফরে গিয়েছিলেন হাসিনা। তখন কিন্তু প্রটোকল ভেঙে বিমানবন্দরে এসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানিয়েছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী৷ মধ্যখানের এই ৫ বছরে দৃশ্য পাল্টে যাওয়ায় তৈরি হয়েছে নানান আলোচনা।

ভারতের অভ্যর্থনা জানানোর বিষয়টিকে ভালো চোখে দেখছেননা অনেকেই। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এর সমালোচনায় ইতিমধ্যে তোলপাড় শুরু করেছেন নেটিজেনরা। এর আগে, শেখ হাসিনা ভারতে যাওয়ার ঠিক আগ মুহুর্তে তার সফরসঙ্গীদের তালিকা থেকে বাদ পড়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন৷ বাদ পড়ার কারণ হিসেবে অসুস্থতার কথা বলা হলেও এ নিয়ে চলছে নানান আলোচনা৷

পররাষ্ট্র দফতরের কর্মকর্তারা বলছেন, অসুস্থতার কারণে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এই সফরে যাননি৷ কিন্তু তারপরও অনেকে মনে করছেন, সাম্প্রতিক সময়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বিতর্কিত মন্তব্যে দুই দেশের সরকার বিব্রতকর অবস্থায় পড়ার বিষয়টি নেপথ্যে কাজ করে থাকতে পারে৷

পররাষ্ট্রমন্ত্রী রবিবার বিকালেও সাংবাদিকদের বলেছেন, তিনি এই সফরে থাকছেন৷ সোমবার সকালে হঠাৎ করেই দেখা গেল প্রধানমন্ত্রীর সফরে নেই পররাষ্ট্রমন্ত্রী৷ প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গীর তালিকায় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর স্ত্রীও ছিলেন৷ তিনিও যাননি৷ সকাল থেকে এ নিয়ে আলোচনা শুরু হয়৷ মন্ত্রণালয়ের একাধিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, রবিবার রাতেই পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার খবরটি পৌঁছানো হয়৷ তবে সকাল থেকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বা তার দফতরের কেউ এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি৷

উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ভিভিআইপি ফ্লাইট সোমবার সকাল ১০টা ১৭ মিনিটে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করে৷ প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরের দ্বিতীয় দিনে মঙ্গলবার হায়দরাবাদ হাউসে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা এবং একান্ত বৈঠক করার কথা রয়েছে৷ ৮ সেপ্টেম্বর, অর্থাৎ বৃহস্পতিবার দেশে ফেরার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার৷