বাংলাদেশের জনগণের পাশে দাঁড়ান: কংগ্রেসম্যান জেমি রাসকিন - মুক্ত আকাশ
    মঙ্গলবার, ২৫ মার্চ ২০২৫, ১২:১৬ অপরাহ্ন
    শিরোনাম:
    গাজায় পানি সরবরাহ বন্ধ করে ফিলিস্তিনিদের বসতভিটা ছাড়তে বাধ্য করছে ইসরায়েল সেনাবাহিনীকে জনগণের মুখোমুখি করা হচ্ছে: তারেক রহমান গণঅভ্যুত্থানে হেলিকপ্টার থেকে ছোড়া গুলীতে শহীদ হন লক্ষীপুরের শ্রমজীবী শাওন মুক্তিযুদ্ধ ও অভ্যুত্থানের চেতনায় এগিয়ে যেতে চায় সরকার: প্রধান উপদেষ্টা দেশে জরুরি অবস্থা জারির বিষয়টি সম্পূর্ণ গুজব: স্বরাষ্ট্র সচিব আশুলিয়া ৪৬ আন্দোলনকারীর গুলিবিদ্ধ লাশ পোড়ানোর প্রতিবেদন ট্রাইবুনালে পৌঁছেছে একনেক প্রকল্পের জন্য ২১ হাজার কোটি টাকার ১৫ প্রকল্প অনুমোদন ৭১ এর সঙ্গে ২০২৪কে একই কাতারে আনা সমুচিত নয়: সালাহউদ্দিন আহমেদ এরদোগানের পদত্যাগের দাবিতে বিরোধী দলের আন্দোলন উওাল তুরস্কের ইস্তাম্বুল হাসিনার বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষের ক্ষোভের সম্পর্কে ভারত অবগত ছিলেন

    বাংলাদেশের জনগণের পাশে দাঁড়ান: কংগ্রেসম্যান জেমি রাসকিন

    • Update Time : শুক্রবার, ১০ জুন, ২০২২
    • ৩৭ Time View

    বাংলাদেশে সরকার মৌলিক মানবাধিকার এবং নাগরিক স্বাধীনতার জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে উল্লেখ করে যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসম্যান জেমি রাসকিন অধিকার প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশের জনগণের পাশে দাঁড়ানোর আহবান জানিয়েছেন।

    মঙ্গলবার ১১৭তম কংগ্রেসের ২য় অধিবেশনে দেয়া বক্তব্যে এই আহবান জানান হাউস জুডিসিয়ারি কমিটির সদস্য এবং সিভিল রাইটস ও সিভিল লিবার্টিস সাব কমিটির চেয়ারম্যান কংগ্রেসম্যান রাসকিন।

    বক্তব্যের শুরুতেই বাংলাদেশের চলমান পরিস্থিতিতে উদ্বেগ জানিয়ে রাসকিন বলেন, “ম্যাডাম স্পিকার, আজ আমি বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করে কথা বলছি। যেমুহূর্তে বাংলাদেশ সরকার মৌলিক মানবাধিকার এবং নাগরিক স্বাধীনতার বিপক্ষে অব্যাহত হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে ঠিক সেসময় মানবাধিকার কর্মী, সংখ্যালঘু সদস্য এবং সুশীল সমাজের পক্ষে আমার সমর্থন ঘোষণা করছি।”

    ক্রমঅবনতিশীল মানবাধিকার পরিস্থিতির প্রসঙ্গে উল্লেখ করে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ইমপিচম্যান্টের লিড কংগ্রেস ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করা কংগ্রেসম্যান রাসকিন বলেন, “ক্রমঅবনতিশীল মানবাধিকার পরিস্থিতি, বিপদের মুখে থাকা নৃগোষ্ঠী, মহিলা, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়, মানবাধিকার কর্মী এবং শরণার্থীদের রক্ষায় ব্যর্থতার জন্য ইতিমধ্যে ব্যাপক নিন্দার মুখোমুখি হয়েছে শেখ হাসিনা নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার।”

    তিনি বলেন, “বাংলাদেশের মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়টি অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনেলের রিপোর্টে উঠে এসেছে। মহামারির সময়ে মানবাধিকারের লঙ্ঘন আরও বেড়েছে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।

    সরকার অনিয়ম কিংবা যে কোনো নীতির সমালোচনার করার দায়ে নিপীড়নমূলক ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টের মাধ্যমে বাংলাদেশে রুটিনমাফিক সাংবাদিক এবং মানবাধিকারকর্মীদের নির্যাতন করা হয়েছে বলে জানান কংগ্রেসম্যান রাসকিন।

    তিনি আরও বলেন, “জনসমাবেশ নিয়ে করোনাভাইরাসের যে বিধিনিষেধ দেয়া হয়েছে সেগুলোকে রাজনৈতিক সভায় বাধা দেয়া এবং সরকারবিরোধী বিক্ষোভ দমিয়ে রাখার কাজে ব্যবহার করা হয়েছে। মহামারির সময় নারী এবং নৃগোষ্ঠী কর্মীদের ওপর সহিংসতা বেড়েছে।”

    র‍্যাবের কার্যক্রমের সমালোচনা করে কংগ্রেসের ল্যানটস মানবাধিকার কমিশনের এই সদস্য বলেন, “পুলিশ, সেনাবাহিনী এবং বিজিবির সমন্বয়ে সরকার র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব) নামের বিশেষায়িত বাহিনী গঠন করেছে। এই র্যাব এবং অন্যান্য আইনশৃ্ঙ্খলাবাহিনীর অন্যায় কার্যক্রম বন্ধে ক্রমাগতভাবে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে সরকার।২০০৯ সাল থেকে এখন পর্যন্ত ৬০০-এর বেশী গুম এবং ২০১৮ সাল থেকে এখন পর্যন্ত ৬০০-এর কাছাকাছি বিচারবর্হিভূত হত্যার অভিযোগ উঠেছে র্যাব এবং অন্যান্য আইনশৃ্ঙ্খলাবাহিনীর বিরুদ্ধে। এসব অন্যায় কর্মকান্ডের শিকার হলেন-বিরোধীদল, সাংবাদিক এবং মানবাধিকার কর্মীরা।”

    বাংলাদেশে মুক্তমত বাধাগ্রস্থ হচ্ছে উল্লেখ করে কংগ্রেসম্যান রাসকিন বলেন, “বাংলাদেশে বিপদজনকভাবে গুম বেড়ে যাওয়া নিয়ে গত বছরের আগস্টে ব্রিফ্রিংয়ের আয়োজন করেছিলো টম লেন্টস হিউম্যান রাইটস কমিশন। আমি নিজেও সংস্থাটির একজন সদস্য।হিউম্যান রাইটস ওয়াচ এবং এশিয়ান হিউম্যান রাইটস কমিশনের প্রতিনিধিবৃন্দ এতে যোগ দেন। পাশাপাশি এতে অংশ নিয়েছিলেন ফেসবুকে সরকারের সমালোচনা করায় গ্রেফতার হওয়া আলোকচিত্রী শহীদুল আলম এবং গুম হওয়া বিরোধী দলের নেতা সাজেদুল ইসলাম সুমনের বোন।”

    এসব সহিংসতা এবং গুম বাংলাদেশের মুক্তমত, বিরোধীদল এবং সুশীল সমাজের কার্যক্রমকে মারাত্মকভাবে ব্যাহত করছে বলে বক্তব্যে উল্লেখ করেন কংগ্রেসম্যান রাসকিন।

    যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক র‍্যাবের ওপর অবরোধের প্রতিক্রিয়া বাংলাদেশ সরকার উল্টো প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে উল্লেখ করে কংগ্রেসের কমিটি অন হাউস এডমিনিসট্রেশনের ভাইস চেয়ারম্যান রাসকিন বলেন, “আইনের শাসন, মানবাধিকার এবং মৌলিক অধিকার অবজ্ঞা করার দায়ে গত বছরের আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবসে র‍্যাবের ওপর অবরোধ আরোপ করেছিল যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি ডিপার্টমেন্ট। জাতিসংঘ বলছে, গত ডিসম্বরে র‍্যাব কর্মকর্তাদের ওপর অবরোধ আরোপের পাল্টা প্রতিশোধমূলক জবাব হিসেব বাংলাদেশ সরকার ভয় এবং হয়রানিমূলক কার্যক্রম বেছে নিয়েছে। গুমের শিকার অন্তত ১০ পরিবারের স্বজনদের বাসায় রাতের বেলা অভিযান চালানো হয় এবং কিছু স্বজনকে তাদের পরিবারের সদস্যদেরকে গুম করা হয়নি এই মর্মে জোর করে স্বাক্ষর দিতে বাধ্য করা হয়।

    যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসনের সবাইকে বাংলাদেশের নিপীড়িত মানুষের পক্ষে দাঁড়ানোর আহবান জানিয়ে এই কংগ্রেসম্যান বলেন, “আমি আমার সহকর্মীদের বলবো বাংলাদেশের জনগণের পাশে দাঁড়ান। বিশেষ করে যে সকল সাহসী মানুষগুলো বিপদের মুখোমুখি তাদের পাশে আসুন।

    বাংলাদেশের জনগণের অধিকারের প্রতি সম্মান জানাতে সরকারকে আহবান জানিয়ে কংগ্রেসম্যান জেমি রাসকিন বলেন, “নাগরিকদের অধিকারের প্রতি সম্মান জানাতে অবিলম্বে পদক্ষেপ নিন। জনগণের নিরাপত্তা দিন।

    Please Share This Post in Your Social Media

    Leave a Reply

    Your email address will not be published. Required fields are marked *

    More News Of This Category
    © সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
    ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: CloudVai-ক্লাউড ভাই