মাদারীপুরে বাস খাদে পড়ে ১৯ জন নিহতের ঘটনায় মামলা - মুক্ত আকাশ
    মঙ্গলবার, ২৫ মার্চ ২০২৫, ১২:১৭ অপরাহ্ন
    শিরোনাম:
    গাজায় পানি সরবরাহ বন্ধ করে ফিলিস্তিনিদের বসতভিটা ছাড়তে বাধ্য করছে ইসরায়েল সেনাবাহিনীকে জনগণের মুখোমুখি করা হচ্ছে: তারেক রহমান গণঅভ্যুত্থানে হেলিকপ্টার থেকে ছোড়া গুলীতে শহীদ হন লক্ষীপুরের শ্রমজীবী শাওন মুক্তিযুদ্ধ ও অভ্যুত্থানের চেতনায় এগিয়ে যেতে চায় সরকার: প্রধান উপদেষ্টা দেশে জরুরি অবস্থা জারির বিষয়টি সম্পূর্ণ গুজব: স্বরাষ্ট্র সচিব আশুলিয়া ৪৬ আন্দোলনকারীর গুলিবিদ্ধ লাশ পোড়ানোর প্রতিবেদন ট্রাইবুনালে পৌঁছেছে একনেক প্রকল্পের জন্য ২১ হাজার কোটি টাকার ১৫ প্রকল্প অনুমোদন ৭১ এর সঙ্গে ২০২৪কে একই কাতারে আনা সমুচিত নয়: সালাহউদ্দিন আহমেদ এরদোগানের পদত্যাগের দাবিতে বিরোধী দলের আন্দোলন উওাল তুরস্কের ইস্তাম্বুল হাসিনার বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষের ক্ষোভের সম্পর্কে ভারত অবগত ছিলেন

    মাদারীপুরে বাস খাদে পড়ে ১৯ জন নিহতের ঘটনায় মামলা

    • Update Time : সোমবার, ২০ মার্চ, ২০২৩
    • ৩৭ Time View

    ডেস্ক রিপোর্ট: মাদারীপুরের শিবচরে ভয়াবহ বাস দুর্ঘটনায় ১৯ জন নিহতের ঘটনায় ইমাদ পরিবহনের মালিকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে হাইওয়ে পুলিশ। রবিবার রাতে শিবচর থানায় মামলাটি দায়ের করেন শিবচর হাইওয়ে পুলিশের সার্জেন্ট জয়ন্ত সরকার।

    মাদারীপুরের শিবচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনোয়ার হোসেন জানান, রবিবার ভোরে খুলনা থেকে রাজধানী ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসে ইমাদ পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস। যাত্রাবাড়ী-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ের কুতুবপুরে এলে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাসটি সড়কের নিচের আন্ডারপাস সেতুর সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এতে দুমড়ে-মুচড়ে যায় বাসের সামনের অংশ। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে ১৪ জনের মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস। আহতদের উদ্ধার করে বিভিন্ন হাসপাতালে নেয়া হলে সেখানে মারা যায় আরো ৫ জন। এছাড়া বেশ কয়েকজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় নেয়া হয়েছে ঢাকা মেডিকেলে। বাসটির যান্ত্রিক ত্রুটি আর বেপরোয়া গতির কারণেই এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা হয়েছে উল্লেখ করে থানায় ইমাদ পরিবহন কর্তৃপক্ষসহ অজ্ঞাতদের আসামি করে মামলা করে হাইওয়ে পুলিশ।

    এদিকে নিহতদের মরদেহ প্রথমে রাখা হয় শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। পরিচয় শানক্তের পর বুঝিয়ে দেয় হয় পরিবারের কাছে। আর নিহতদের প্রত্যেক পরিবারকে ২৫ হাজার ও আহতদের চিকিৎসার জন্য ৫ টাকা করে আর্থিক সহায়তার ঘোষণা দেয় জেলা প্রশাসন।

    এই দুর্ঘটনায় নিহত ১৯ জনের মধ্যে ১৭ জনের নাম পরিচয় শনাক্ত করা হয়েছে। নিহতদের মধ্যে ৭ জনই গোপালগঞ্জ জেলার বিভিন্ন উপজেলার, খুলনার ৪ জন, এছাড়া ফরিদপুর, খুলনা, নড়াইল, সাতক্ষীরা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও পাবনা জেলার একজন করে রয়েছেন।

    তারা হলেন- গোপালগঞ্জের গোপীনাথপুর এলাকার তৈয়ব আলীর ছেলে হেদায়েত মিয়া, বনগ্রাম এলাকার শামসুল শেখের ছেলে মোশতাক আহম্মেদ, সদর উপজেলার নশর আলী শেখের ছেলে সজীব শেখ, পাচুরিয়া এলাকার মাসুদ হোসেনের মেয়ে সুইটি আক্তার, টুঙ্গিপাড়ার কাঞ্চন শেখের ছেলে করিম শেখ, সদর উপজেলার আবু হেনা মোস্তফার মেয়ে আফসানা মিমি, মুকসেদপুর এলাকার আমজেদ আলীর ছেলে মাসুদ আলী, খুলনার সোনাডাঙা এলাকার শেখ মোহাম্মদ আলীর ছেলে আব্দুল্লাহ আল মামুন, খুলনা সাউথ মেন্টাল রোড এলাকার চিত্ত রঞ্জন ঘোষের ছেলে চিন্ময় প্রসুন ঘোষ, ডুমুরিয়া এলাকার পরিমল সাদু খায়ের ছেলে মহাদেব কুমার সাদু খা, আমতলা এলাকার শাহজাহান মোল্লা ছেলে আশফাকুর জাহান লিংকন, বাগেরহাট জেলার শান্তি রঞ্জন মজুমদারের ছেলে অনাদি মজুমদার, ফরিদপুর হিদাডাঙ্গা এলাকার সৈয়দ মুরাদ আলীর ছেলে মো. ইসমাইল, নড়াইল লোহাগড়া এলাকার বকু শিকদারের ছেলে ফরহাদ শিকদার, বাসের চালক ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আলী আকবরের ছেলে জাহিদ হাসান ও বাস সুপারভাইজার মো. মিরাজ এবং বাসের হেলপার পাবনা সুজানগর এলাকার গহর আলীর ছেলে ইউসুপ আলী।

    Please Share This Post in Your Social Media

    Leave a Reply

    Your email address will not be published. Required fields are marked *

    More News Of This Category
    © সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
    ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: CloudVai-ক্লাউড ভাই