মালদ্বীপে পালিয়েছেন শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট গোটাবাইয়া রাজাপাকসে। তবে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের রিপোর্ট অনুযায়ী, এর আগে তিনি ভারতের সাহায্য চেয়েছিলেন। তবে ভারত তাকে কোনো সাহায্য করতে সম্মত হয়নি। পরে বাধ্য হয়ে মালদ্বীপে আশ্রয় নেন তিনি। দেশের প্রেসিডেন্ট হিসেবে গ্রেপ্তারের সুযোগ নেই রাজাপাকসেকে। কিন্তু বিক্ষুব্ধ জনতা সেই আইনের তোয়াক্কা করবে না। তাই নিজের ও পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিতে যত দ্রুত সম্ভব দেশ ছাড়ার চেষ্টা করেন গোটাবাইয়া রাজাপাকসে। তবে সব জায়গায়ই বাধা পেতে থাকেন তিনি। এমনকি বিমানবন্দরে অভিবাসন কর্মকর্তারাও তাকে দেশ ছাড়ার সুযোগ দিতে অসম্মতি জানান।
একসময় যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব ছিল গোটাবাইয়ার। ২০১৯ সালে তা ত্যাগ করেন তিনি।
যদিও তিনি আবারও যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা চেয়ে আবেদন করেছিলেন। তবে যুক্তরাষ্ট্র তাকে সেই সুযোগ দেয়নি। শ্রীলঙ্কায় থাকা বিভিন্ন সূত্রমতে গোটাবাইয়া ভারত হয়েও পালানোর পরিকল্পনা এঁটেছিলেন। সামরিক বিমানে করে যেভাবে তিনি মালদ্বীপ পালিয়েছেন, সেভাবেই ভারতে পালানোর কথা ভেবেছিলেন তিনি। পরে বিকল্প হিসেবে বেসামরিক বিমানে করেও ভারত যাওয়ার কথা ভাবেন তিনি। তবে ভারতের সাহায্য ছাড়া সেটি সম্ভব ছিল না।
ভারত প্রথমেই সামরিক বিমান নিয়ে যাওয়ার প্রস্তাব বাতিল করে দেয়। এরপর গোটাবাইয়া ঠিক করেন একটি বেসামরিক বিমানে করে তিনি ভারতের কেরালায় যাবেন। শ্রীলঙ্কান এয়ারওয়েজের একটি বিমানে করে কোচি বিমানবন্দরে যাওয়ার পরিকল্পনা করেন তিনি। ঠিক করা হয়, বিমান উড্ডয়নের পর ‘টেকনিক্যাল সমস্যা’ ঘোষণা দিয়ে কোচি বিমানবন্দরে অবতরন করবে গোটাবাইয়ার বিমান। এরপর সেখান থেকেই তিনি তার পরবর্তী গন্তব্যে যাত্রা করবেন। কিন্তু ভারত থেকে এর জন্য অনুমতি দরকার ছিল। কিন্তু ভারত শেষ পর্যন্ত সেটি প্রত্যাখ্যান করে দেয়। তবে ভারত হয়ে গোটাবাইয়া কোন দেশে পালানোর কথা ভাবছিলেন তা জানা যায়নি।
Leave a Reply