আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মিয়ানমারের সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী এবং সেনাবাহিনীর মধ্যে ফের তীব্র সংঘর্ষ শুরু হয়েছে এই ঘটনায় ৮০ জনের মৃত্যু নিশ্চিত করেন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম। এ পরিস্থিতিতে লড়াই থেকে ও জীবন বাঁচতে হাজার হাজার মানুষ সীমান্ত পাড়ি দিয়ে থাইল্যান্ডে পালিয়ে যাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন থাই কর্মকর্তারা। এমন সংবাদ প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম এএফপি।
থাই কর্মকর্তারা বলছেন, মিয়ানমারের কারেন রাজ্যের মায়াওয়াদি শহরে সংঘর্ষ চলছে। সীমান্তবর্তী শহরটি থাইল্যান্ডের তাক প্রদেশের কাছে অবস্থিত। সংঘর্ষ শুরুর পর বুধবার থেকে এখন পর্যন্ত মিয়ানমারের ১০টি এলাকা থেকে প্রায় ১০ হাজারের বেশি বার্মিজ বাসিন্দা থাইল্যান্ডের পালিয়েছে।
কারেন ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মির সশস্ত্র যোদ্ধারা সীমান্তরক্ষী চৌকিতে হামলা চালালে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক দাতব্যকর্মী জানান, মানুষের কাছে এখন পর্যাপ্ত খাবার পানিও নেই। বহু মানুষ এখনো সীমান্ত পাড়ি দেয়ার অপেক্ষায় আছেন। এ ছাড়া সংঘর্ষের পর থেকে দুই পক্ষের অন্তত ৮০ জন নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম।
পর্যবেক্ষকরা বোমা ও স্থল হামলায় বেসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করায় সামরিক বাহিনীকে অভিযুক্ত করেছেন। গত সপ্তাহে মিয়ানমারের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের একটি গ্রামে বোমা হামলায় শিশুসহ অন্তত আটজন নিহত হন।
তবে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী দাবি করছে, তারা ‘সন্ত্রাসীদের’ বিরুদ্ধে লড়াই করছে। বেসামরিক মানুষকে লক্ষ্যবস্তু করার বিষয়টি অস্বীকার করেছে তারা। বেসামরিক মানুষের মৃত্যুর জন্য অভ্যুত্থানবিরোধী যোদ্ধাদের দায়ী করছে সেনারা।
জাতিসংঘের মতে, সেনা অভ্যুত্থানের পর থেকে এ পর্যন্ত অন্তত ৩ হাজার ২১২ জনকে হত্যা করেছে মিয়ানমারের সেনারা, ১৭ হাজারের বেশি আছেন কারাগারে। এ ছাড়া সীমান্তবর্তী অঞ্চলের অন্তত ১৪ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট রাখাইনের কয়েকটি নিরাপত্তা চৌকিতে হামলার পর পূর্ব-পরিকল্পিত ও কাঠামোবদ্ধ সহিংসতা জোরালো করে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। হত্যা-ধর্ষণসহ বিভিন্ন ধারার সহিংসতা ও নিপীড়ন থেকে বাঁচতে বাংলাদেশে পালিয়ে আসে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর সাত লাখেরও বেশি মানুষ।
Leave a Reply