রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে পুলিশের এই খবরদারি মানবাধিকারের পরিপন্থী - মুক্ত আকাশ
    বুধবার, ১৯ মার্চ ২০২৫, ১২:৪৯ অপরাহ্ন
    শিরোনাম:
    বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে সরাসরি এড়িয়ে যায় মুখপাত্র ট্যামি ব্রুস বৃহস্পতিবার থেকে রাজনৈতিক দলের সাথে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠক শুরু চট্টগ্রামের শীর্ষ সন্ত্রাসী ১৭ মামলার আসামি সাজ্জাদের স্ত্রীর সংখ্যা ২৫ যুদ্ধ বিরতির মধ্যেই ঘরে ফেরা ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলের হামলা ফ্যাসিস্ট হাসিনার নামে বেনামে আরও ৩১ ব্যংকে হিসাব জব্দের নির্দেশ ভারতীয় করোনার টিকা আমদানি করে ২২ হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ সালমান এফ রহমানের বিরুদ্ধে উপদেষ্টারা গনঅভ্যুত্থান নিয়ে বিভাজনরেখা তৈরি করছেন: রিজভী বাংলাদেশে সৌর বিদ্যুৎ উৎপাদনে বিনিয়োগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে প্রধান উপদেষ্টাকে জানিয়েছে চীন পুলিশকে অবহেলা করে কিংবা পাশ কাটিয়ে গিয়ে দেশ গড়তে পারবো না ডিবি হেফাজতে নিহত শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমনের শরীরে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে

    রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে পুলিশের এই খবরদারি মানবাধিকারের পরিপন্থী

    • Update Time : রবিবার, ১১ ডিসেম্বর, ২০২২
    • ৩২ Time View

    বিরোধী রাজনৈতিক দল ও ভিন্নমত দমন করার জন্য পুলিশ বাহিনী রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের ওপর খবরদারি, নাগরিকদের মুঠোফোন ও দেহ তল্লাশিসহ যে ধরনের তৎপরতা চালাচ্ছে, তা গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের সম্পূর্ণ পরিপন্থী বলে মনে করেন ২৪ বিশিষ্ট নাগরিক। আজ রবিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক যৌথ বিবৃতিতে তারা এ অভিমত দিয়েছেন। পাশাপাশি এমন কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন তারা।

    বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সভা-সমাবেশের অধিকার আমাদের সংবিধানসম্মত মৌলিক অধিকার। আমরা সরকারকে এ অধিকারের লঙ্ঘন থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানাচ্ছি। বিরোধী দলগুলোর নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে দমন-পীড়ন-নির্যাতন থেকে বিরত থাকার দাবি জানাচ্ছি। উপযুক্ত প্রমাণ ছাড়া যেসব বিএনপির নেতা-কর্মীরা গ্রেপ্তার হয়েছেন, তাদের অবিলম্বে মুক্তি প্রদানের দাবি করছি।

    ঢাকায় বিএনপির গণসমাবেশের স্থান নির্ধারণ নিয়ে বিতর্ক-উত্তাপের মধ্যে গত বুধবার বিকেলে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে দলটির নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। এতে একজন নিহত এবং অর্ধশতাধিক নেতা-কর্মী আহত হন। পরদিন বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসকে তাদের বাসা থেকে আটক করে নিয়ে যায় পুলিশ। এ ছাড়া দলটির চার শতাধিক নেতা–কর্মীকে গ্রেপ্তার করে সংঘর্ষের ঘটনায় করা মামলায় আসামি করা হয়েছে।

    এ বিষয়ে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, কয়েক মাস ধরে অবাধ–সুষ্ঠু নির্বাচনসহ বিভিন্ন দাবিতে দেশের অন্যতম রাজনৈতিক দল বিএনপি সারা দেশে সভা–সমাবেশ আয়োজন করে যাচ্ছে। সরকারের নানা বাধা ও উসকানি সত্ত্বেও এসব সভা–সমাবেশের আয়োজন শান্তিপূর্ণ ছিল দাবি করে বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘১০ ডিসেম্বর বিএনপি ঢাকায় যে সমাবেশের আয়োজন করে, তাতে সরকার যেভাবে দমন–নির্যাতন চালিয়েছে, আমরা তার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। বিশেষ করে বিএনপির প্রস্তুতি সমাবেশে পুলিশের গুলি করে একজনকে হত্যা ও আরও অনেককে আহত করা, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বিএনপির নেতা-কর্মীদের ঢালাওভাবে গ্রেপ্তার ও মামলা দায়ের এবং বিএনপি কার্যালয়ে পুলিশের হামলার ঘটনা বাক্‌স্বাধীনতা ও সভা-সমাবেশের অধিকারের চরম লঙ্ঘন বলে আমরা মনে করি।

    বিবৃতিদাতারা হলেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা এম হাফিজ উদ্দিন খান, মানবাধিকারকর্মী হামিদা হোসেন, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব আলী ইমাম মজুমদার, সুজনের সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার, অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ, আইনজীবী সালমা আলী, আলোকচিত্রী শহিদুল আলম, মানবাধিকারকর্মী শিরিন হক, শারমীন মুরশিদ, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী শাহদীন মালিক, সুব্রত চৌধুরী, সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আসিফ নজরুল, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মির্জা তাসলিমা সুলতানা ও নাসরিন খন্দকার, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মাইদুল ইসলাম, মানবাধিকারকর্মী নূর খান, রেহনুমা আহমেদ, হানা সামস আহমেদ, নাসের বখতিয়ার, গবেষক বীণা ডি’কস্টা, সায়দিয়া গুলরুখ ও রোজিনা বেগম।

    Please Share This Post in Your Social Media

    Leave a Reply

    Your email address will not be published. Required fields are marked *

    More News Of This Category
    © সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
    ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: CloudVai-ক্লাউড ভাই