আন্তর্জাতিক ডেস্ক: একটি জাতি গঠন দীর্ঘমেয়াদী প্রক্রিয়া। যার জন্য অন্যান্য অনেক উপাদানের পাশাপাশি এমন একজন বীরের প্রয়োজন হয় যাকে দেশের জনসংখ্যার একটি বৃহৎ অংশ গ্রহণ করে। ঔপনিবেশিক-পরবর্তী দেশগুলোতে এই ধরনের বীর মূলত সেই ব্যক্তিকে গণ্য করা হতো, যিনি ঔপনিবেশিক শাসন থেকে মুক্ত করে দেশকে স্বাধীনতার দিকে পরিচালিত করেছিলেন। এমন একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম দ্য ডিপ্লোম্যাট।
একজন দেশনায়ক, মানুষ হিসেবে নিখুঁত নাও হতে পারেন। আর তাই একটি গণতন্ত্রে, তার কিছু সিদ্ধান্ত পরবর্তী প্রজন্মের দ্বারা প্রশ্নবিদ্ধ এবং সমালোচিত হয়। গণতন্ত্রের বিপরীতে একটি স্বৈরাচারী শাসনব্যবস্থায় একজন শাসক প্রায়শই তার রাজনৈতিক উদ্দেশ্য পূরণের জন্য দেশের নায়কের ভাবমূর্তি ব্যবহার করে থাকেন। দেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে তার ভূমিকা নিয়ে কোনও গুরুতর বিতর্কের সুযোগ দেন না।
Classes Nine and Ten) শীর্ষক ২০২৫ সালের সংশোধিত পাঠ্যপুস্তকে, মুক্তিযুদ্ধে মুজিবের ভূমিকা সম্পর্কে যথেষ্ট আলোচনা করা হয়েছে। পাঠ্যপুস্তকের ২০২ পৃষ্ঠায় মুজিবের ১৯৭১ সালের বিখ্যাত ‘মার্চের’ ভাষণের কথা উল্লেখ করা হয়েছে, যেখানে তিনি স্বাধীনতার জন্য লড়াই করতে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে কমিটি গঠনের আহ্বান জানিয়েছিলেন। সেই ভাষণে মুজিব বলেছিলেন, ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির জন্য। এবারের সংগ্রাম আমাদের স্বাধীনতার জন্য’।
বইটির ২০৪ পৃষ্ঠায় বলা হয়েছে- ‘২৬শে মার্চ চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে মেজর জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। তারপর ২৭শে মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হয়ে তিনি আবার স্বাধীনতা ঘোষণা করেন।’ তবে আওয়ামী লীগ সমর্থকদের অসন্তোষের মুখেও বইটিতে মুজিবকে ‘জাতির পিতা’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়নি।
পরবর্তী গুরুত্বপূর্ণ সংবাদ পেতে পেজে লাইক দিয়ে আমাদের সাথে থাকুন।
Leave a Reply