সাহিত্য জগতে রাজা রাম মোহন রায়ের অবদান ছিলো ইতিহাসের পাতায় স্থান করে নেওয়ার মত। প্রাচীন বাংলা সাহিত্যে গদ্যের ব্যবহার ছিল না বললেই চলে। তবে ষোড়শ শতাব্দী হতে নিতান্ত প্রয়োজনে, হিসাব-নিকাশ, আদালত, চুক্তিপত্র, চিঠি-দরখাস্ত প্রভৃতি সীমাবদ্ধ ক্ষেত্রে গদ্যের ব্যবহার হতো। তখন যিনি সমগ্র ভারতবর্ষকে সাহিত্যজগতে আশার আলো দেখাতে শুরু করেন, তিনি হলেন রাজা রামমোহন রায়। তাকে বলা হয় প্রাচ্যদেশের প্রথম জাগ্রত মানুষ। তৎকালীন সাহিত্যের কেন্দ্রবিন্দু ছিল একেশ্বরবাদ, কুসংস্কার, বিধিনিষেধ ইত্যাদি। এসব থেকে দূরে গিয়ে তিনিই প্রথম সংস্কার, বিধি, ও আচার-বিচারের স্থলে মানবতন্ত্রবাদের প্রাধান্য সূচনা করেন। আধুনিক ইউরোপের রাষ্ট্রনীতি, সমাজনীতি ও জ্ঞানবাদে প্রতি নিজেও আকৃষ্ট হন, এবং অপরকে আকৃষ্ট করেন।
১৮১৫ থেকে ১৮৩০ সাল, মোট ১৫ বছরে রামমোহন অন্তত ৩০টি বাংলা পুস্তক রচনা করেন। তার ‘বেদান্ত’ গ্রন্থের গোড়ার দিকে তিনি বাঙালিকে গদ্য লিখতে এবং পড়তে শিখিয়েছেন।
Leave a Reply