ডেস্ক রিপোর্ট: বগুড়া জেলা যুবলীগের সহসভাপতি ১৮ মামলার আসামি আলহাজ শেখকে (৫৩) তালাবদ্ধ বাসার টয়লেট থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গতকাল (৭ জানুয়ারি) মঙ্গলবার গভীর রাতে শহরের সূত্রাপুর এলাকায় তিন ঘণ্টাব্যাপী অভিযান চালিয়ে বগুড়া পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক এই কাউন্সিলরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশ জানায়, গত ৫ আগস্টের পর আত্মগোপনে ছিলেন যুবলীগ নেতা আলহাজ শেখ। মঙ্গলবার রাতে পুলিশের কাছে তথ্য আসে তিনি তাঁর বাড়িতেই অবস্থান করছেন। এমন তথ্যের ভিত্তিতে রাত ১২টার দিকে সদর থানা ও ডিবি পুলিশের যৌথ টিম শহরের গোহাইল রোডে সূত্রাপুর এলাকায় আলহাজ শেখের বাসায় অভিযান চালায়। আটতলা ভবনের সব ইউনিটে তল্লাশি করেও পুলিশ আলহাজকে পায়নি।
একপর্যায়ে ভবনের ছাদে গিয়ে পুলিশ দেখতে পায়, সিঁড়িঘরের দরজা খোলা। তাতে পুলিশের সন্দেহ হয়, আলহাজ ছাদ দিয়ে পালিয়ে গিয়ে থাকতে পারে। সেই সন্দেহ থেকে পুলিশ পাশের আরেকটি আটতলা ভবনে তল্লাশি চালায়। একপর্যায়ে পুলিশ দেখতে পায় আটতলার একটি ফ্ল্যাট তালাবদ্ধ। পুলিশ ওই বাসার মালিককে ফোন করলে তিনি বলেন, বাসায় তালা দিয়ে তিনি স্ত্রী-সন্তান নিয়ে ঢাকায় রওনা হয়েছেন। এ সময় পুলিশ ওই বাসার তালা ভেঙে তল্লাশি করতে চাইলে মালিক চাবি পৌঁছে দেন। পরে রাত ৩টার দিকে তালাবদ্ধ ফ্ল্যাট খুলে টয়লেট থেকে আলহাজকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশ আরও জানায়, গ্রেপ্তারের পর আলহাজ শেখ পুলিশকে জানান, গত ৫ আগস্ট আওয়ামী সরকারের পতনের পরপরই তিনি আত্মগোপনে ছিলেন। গত ৩০ ডিসেম্বর রাতে বাড়ি ফেরেন। এরপর থেকে তিনি নিজ বাড়িতেই অবস্থান করছিলেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এফ এম মঈনুদ্দিন বলেন, গ্রেপ্তারের পর আলহাজ শেখকে ডিবি হেফাজতে রাখা হয়েছে। জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হত্যাসহ ১৮টি মামলা হয় আলহাজের বিরুদ্ধে। তার বিরুদ্ধে আগেও মামলা রয়েছে। তিনি পুলিশের তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী। বুধবার তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
পরবর্তী গুরুত্বপূর্ণ সংবাদ পেতে পেজে লাইক দিয়ে আমাদের সাথে থাকুন।
Leave a Reply