ডেস্ক রিপোর্ট: নির্বাচনের সঙ্গে কোন পার্টির দাবি-দাওয়ার কোনো সম্পর্ক নাই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
আজ (১৮ সেপ্টেম্বর) বৃহস্পতিবার রাজধানীর হাতিরঝিলে মহানগর প্রজেক্টের বাসায় গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরকে দেখতে গিয়ে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এ মন্তব্য করেন। তিনি তার সঙ্গে কথা বলেন এবং তার চিকিৎসার খোঁজ-খবর নেন। পরে সাংবাদিকদের তিনি জানান, উন্নত চিকিৎসার জন্য নুর সিঙ্গাপুরে যাচ্ছেন।
দেশ নির্বাচনের পথে মন্তব্য করে আমীর খসরু বলেন, এখন তো দেশ নির্বাচনের দিকে যাচ্ছে এবং এটার জন্য তো আমরা গত ১৫/১৬ বছর এত ত্যাগ স্বীকার করেছে সবাই মিলে। নির্বাচনের সঙ্গে কোন পার্টির কি দাবি-দাওয়া- এটার কোনো সম্পর্ক নাই। তাদের দাবি-দাওয়া থাকতেই পারে, সেই দাবি দেয়া নিয়ে তাদের জনগণের কাছে যেতে হবে, জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে সংসদে আসবে, তারপর সেটা পাশ করতে পারবে- কোন অসুবিধা নাই। কিন্তু এসব দাবির সঙ্গে নির্বাচনের প্রক্রিয়ার সঙ্গে কোন সম্পর্ক নাই। তবে কেউ যদি এই পর্যায় অস্থিতিশীল করতে চায় তাদেরকে রাজনৈতিকভাবে এটার জন্য ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।
দাবি যে কেউ করতেই পারে মন্তব্য করে তিনি বলন, এটা (পিআর পদ্ধতির নির্বাচন” চাইতেই পারে কোনো অসুবিধা নাই। আরও অন্যান্য অন্য কিছু চাচ্ছে। আমাদেরও আবার চাওয়ার কিছু আছে। সব জায়গায় যে ঐক্যমত হয়েছে তা তো না, ঐক্যমত হওয়ারই কথা না। কারণ সবাই বিভিন্ন দল, বিভিন্ন দর্শন, বিভিন্ন চিন্তা-ভাবনা।
সুতরাং সব জায়গাতে ঐক্যমত হবে, এটা কেউ বিশ্বাস করার কোন কারণ নাই। তাইলে তো আলাদা-আলাদা দল হইতো না। আমরা বাকশাল হয়ে যেতাম তাই না। সুতরাং সেই চাওয়াটা অসুবিধা নাই। কিন্তু সে চাওয়াটা জনগণের কাছে যেতে হবে, নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে সেটা পূরণ করতে হবে, আর এটাই গণতন্ত্র।
গণতন্ত্র না হলে পরাজিতরা লাভবান হবে মন্তব্য করে খসরু বলেন, যারা গণতন্ত্র বিশ্বাস করে তাদের জনগণের উপর আস্থা থাকতে হবে তাদের যে ভবিষ্যতে তাদের যে কর্মসূচি, যে পরিবর্তন যারা আনতে চায় প্রত্যেকটি দলের তারা জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে সেটা সংসদে আসবে, আলোচনা হবে, বিতর্ক হবে, তারপর পাশ হবে এটাই গণতন্ত্র, এটাতে বিশ্বাস করতে হবে। এটাতে বিশ্বাস না করলে দেশে স্থিতিশীলতা আসবে না, এটাতে বিশ্বাস না করলে আবার একটা পরাজিত শক্তির জন্য আমরা দ্বার উন্মুক্ত করে দেব, তাদের জন্য তো আমরা স্পেস ক্রিয়েট করে দেবৃ তাই না।
তিনি বলেন, আমরা দেশে একটা স্থিতিশীল অবস্থায় চাই, দেশের মানুষ তো একটা স্থিতিশীল স্টেবিলিটি চায়, বাংলাদেশটাকে তো আস্তে-ধীরে তো একটা গণতান্ত্রিক অর্ডারে ফিরিয়ে নিয়ে একটা স্থিতিশীল অবস্থার মাধ্যমে সকলের জীবন যাতে নিরাপদ থাকে এটা চায়।
নুরু যেটা বলল যে, আমরা যত তাড়াতাড়ি নির্বাচনের মাধ্যমে দেশে একটা গণতান্ত্রিক দেশ পাব, যে সরকারের একটা জনগণের সমর্থন থাকবে, যারা রাজনৈতিকভাবে শক্তিশালী থাকবে। সরকারের শক্তি যোগান জনগণের। তো সেটার অনুপস্থিতিতে তো ঘটনা এরকম ঘটতেই থাকবে, আরো বেশি ঘটবে আগামী দিনে।
পরবর্তী গুরুত্বপূর্ণ সংবাদ পেতে পেজে লাইক দিয়ে আমাদের সাথে থাকুন।
Leave a Reply