1. admin@muktoakash24.com : shorif : shorif haider
গুমের ঘটনায় শেখ হাসিনা সহ শীর্ষ কর্মকর্তারা জড়িত: এইচআরডব্লিউ - মুক্ত আকাশ
মঙ্গলবার, ০৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৯:১১ অপরাহ্ন
শিরোনাম:
হালনাগাদ ভোটার তালিকায় যুক্ত হচ্ছে প্রায় ৫০ লাখ নতুন ভোটার চট্টগ্রামে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ ও আ,লীগের ৪৬ নেতাকর্মী গ্রেফতার সিএমপি কমিশনারের নেতৃত্বে অভিযান, ২ ডাকাত গ্রেফতার চবির ডাস্টবিনের নাম পরিবর্তন করে শিক্ষার্থীরা নাম দিয়েছে হাসিনাবিন নারায়ণগঞ্জে লিফলেট বিতরণের অভিযোগে স্বেচ্ছাসেবক লীগের ২ কর্মী গ্রেফতার কমবে তাপমাত্রা জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস সিরাজগঞ্জ ৩ আসনের সাবেক সাংসদ আজিজ গ্রেফতার শেখ হাসিনার সহযোগীরা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে বিপুল অর্থ ব্যয় করছে: প্রধান উপদেষ্টা তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীদের আন্দোলন স্থগিত গুমের ঘটনায় শেখ হাসিনা সহ শীর্ষ কর্মকর্তারা জড়িত: এইচআরডব্লিউ

গুমের ঘটনায় শেখ হাসিনা সহ শীর্ষ কর্মকর্তারা জড়িত: এইচআরডব্লিউ

  • Update Time : সোমবার, ৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫
  • ৬ Time View

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ) গুমের ঘটনা তদারকিতে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং কয়েকজন শীর্ষ সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তার সম্পৃক্ততা খুঁজে পেয়েছে। সংস্থাটি বলেছে, শেখ হাসিনা, শীর্ষ কর্মকর্তা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক ও মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসান এবং পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা গুমের ঘটনা তদারকিতে যুক্ত ছিলেন।

যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থাটির সম্প্রতি প্রকাশিত আফটার দ্য মনসুন রেভ্যুলিউশন: এ রোডম্যাপ টু লাস্টিং সিকিউরিটি সেক্টর রিফর্ম ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক ৫০ পৃষ্ঠার প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে।

গত ১৪ ডিসেম্বর জোরপূর্বক গুমের ঘটনা তদন্তকারী জাতীয় কমিশন প্রথম প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এতে বলা হয়, শেখ হাসিনা সরকারের অধীনে সাড়ে ৩ হাজারের বেশি জোরপূর্বক গুমের ঘটনা ঘটেছে। এইচআরডব্লিউ বলেছে, জোরপূর্বক গুমের সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তারা হিউম্যান রাইটস ওয়াচকে বলেছেন, শেখ হাসিনা ও তার সরকারের শীর্ষ ব্যক্তিরা গুম করে রাখার বিষয়ে অবগত ছিলেন।

শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে যাওয়ার পর, গোপন আটক কেন্দ্র থেকে তিনজনকে মুক্তি দেয়া হয়েছিল। এই তিনজনের বিষয়ে কর্তৃপক্ষ বছরের পর বছর ধরে তাদের আটক রাখার কথা অস্বীকার করে আসছিল। গুম হওয়ার শিকার আইনজীবী মীর আহমাদ বিন কাসেম জানান, তাকে যে স্থানে আটক রাখা হয়েছিল সেটি ‘বন্দীদের মৃত্যুর চেয়েও খারাপ অভিজ্ঞতা দেয়ার জন্য নিখুঁতভাবে ডিজাইন করা হয়েছিল।

ন্যাশনাল ডিসঅ্যাপিয়ারেন্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, নির্যাতনের ধরণ শুধু পদ্ধতিগত নয়, বরং প্রাতিষ্ঠানিকও ছিল। এইচআরডব্লিউ বলেছে, ‘বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, নির্যাতন ও জোরপূর্বক গুমের জন্য দায়ী পুলিশ ও সামরিক কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে গঠিত সন্ত্রাসবিরোধী ইউনিট র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) ভেঙে দিতে সরকারের জাতীয় তদন্ত কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী কাজ করা উচিত।

এ প্রতিবেদনের বিষয়ে মানবাধিকার সংস্থাটি বলেছে, র‌্যাব প্রধান এ কে এম শহীদুর রহমান ইউনিটের গোপন ডিটেনশন সেন্টারের কথা স্বীকার করেছেন ও বলেছেন , অন্তর্বর্তী সরকার ইউনিটটি ভেঙে দিতে চাইলে র‌্যাব সিদ্ধান্ত মেনে নেবে।

বাংলাদেশে বিভেদমূলক রাজনীতির দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে, যা আইন প্রয়োগকারী সংস্থার মধ্যে ঢুকে যেতে পারে উল্লেখ করে এইচআরডব্লিউ বলেছে, অন্তর্বর্তী সরকারের উচিত আটক করে রাখার সব স্থানে অঘোষিত পরিদর্শন করার কর্তৃত্বসহ আইন প্রয়োগের ওপর জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের মাধ্যমে স্বাধীন বেসামরিক তদারকি প্রতিষ্ঠা করা। এছাড়া বাহিনীর ক্ষমতা ব্যবহারের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক মানদণ্ড প্রয়োগ করা উচিত, যাতে সুস্পষ্ট হয়-নিরাপত্তা বাহিনীর কোনও সদস্য আইন লঙ্ঘন করলে তাকে দায়ী করা হবে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: CloudVai-ক্লাউড ভাই