1. admin@muktoakash24.com : shorif : shorif haider
বছরের শুরুতে ডামি নির্বাচন, বছরের মাঝখানেই পতন ফ্যাসিস্ট হাসিনার - মুক্ত আকাশ
বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:২৪ অপরাহ্ন
শিরোনাম:
ষড়যন্ত্রে যে বা যারাই জড়িত থাকবে তাদের বিন্দু পরিমাণ ছাড় দেয়া হবে না: ক্রীড়া উপদেষ্টা আফ্রিকায় নির্বাচনী সহিংসতা রুপ নিয়েছে বড় সংঘাতের দিকে লুটতরাজের স্বীকার প্রবাসী বাংলাদেশিরা রাজনৈতিক দলগুলোসহ সবার মধ্যে বৈষম্য দূর করতে হবে: ড. শফিকুর রহমান গুলশানে বিএনপির সাথে খেলাফত মজলিসের বৈঠক চট্টগ্রামে ড. জামাল নজরুল ইসলামের স্মৃতিচারনে ঐতিহাসিক স্মরণ সভা আগামীকাল আনিস, সালমান, জিয়াউল আহসানকে গনহত্যার অভিযোগ থেকে মুক্তি দিয়ে প্রতিবেদন তদন্ত কর্মকর্তার! দীর্ঘদিন বেতন না পাওয়ার ক্ষোভে জাহাজের ৭ জনকে হত্যা করে ঘাতক মণ্ডল বছরের শুরুতে ডামি নির্বাচন, বছরের মাঝখানেই পতন ফ্যাসিস্ট হাসিনার চাঁপাইনবাবগঞ্জে ভুয়া এনজিও গ্রাহকের ১৪ কোটি টাকা নিয়ে পালিয়ে যাওয়া পর গ্রেফতার বিজয়ের মাসে বীর মুক্তিযোদ্ধা সুশীল কুমার বড়ুয়া কে সংবর্ধনা প্রদান

বছরের শুরুতে ডামি নির্বাচন, বছরের মাঝখানেই পতন ফ্যাসিস্ট হাসিনার

  • Update Time : বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর, ২০২৪
  • ১৫ Time View

শরীফ হায়দার শিবলু: এই বছরের ৭ জানুয়ারি ভোটার বিহীন অনুষ্ঠিত হয় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন।

আবার বছর শেষ না হতেই মাঝামাঝি সময়ে উত্তাল গনঅভ্যুত্থানে ছাত্র জনতার আন্দোলনের মাধ্যমে পতন হয় স্বৈরাচারী হাসিনা সরকারের।

দেশে থেকে বিদেশ কোথাও আ,লীগ সরকারের এই নির্বাচনে সমর্থন না থাকলেও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ও দেশের নির্বাচনের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়া বিএনপি সহ বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের ক্রাক ডাউন মিশনের মূল নেতৃত্ব জোর পূর্বক নির্বাচন করার প্রধান দায়িত্ব ছিলো শেখ হাসিনার হাতেই।

চলতি বছরের ৭ জানুয়ারি বিতর্কিত ‘ডামি নির্বাচন’র মাধ্যমে টানা চতুর্থবারের মতো ক্ষমতা ধরে রাখতে পারলেও অভ্যুত্থানে টিকতে পারেননি শেখ হাসিনা।

মাত্র সাত মাসের মাথায় ছাত্র-জনতার রক্তাক্ত গণঅভ্যুত্থানে তীব্র জনরোষে পতন হয় তার দল আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন সরকারের। দেশ ছেড়ে পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নিতে বাধ্য হন স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা।

চলতি বছরের শুরুতে অনুষ্ঠিত হয় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। আওয়ামী লীগ সরকারের এক তরফা নির্বাচনের প্রস্তুতি দেখে তা বয়কট করেছিল বিএনপি, জামায়াতসহ বেশির ভাগ রাজনৈতিক দল। প্রতিপক্ষবিহীন নির্বাচনকে জমজমাট করতে অভিনব কৌশল নেয় শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ।

নির্বাচনে সমমনা জাতীয় পার্টি, জাসদ, ওয়ার্কার্স পার্টি, জাকের পার্টি, বিকল্প ধারা, কল্যাণ পার্টি, তরিকত ফেডারেশনসহ ১৪ দল থেকে সমঝোতার মাধ্যমে আলাদা প্রার্থী মাঠে নামায় আওয়ামী লীগ। একই সঙ্গে নৌকা প্রতীকে নিজ দলের প্রার্থীদের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের প্রার্থী হিসেবে দাঁড় করায় দলটি। নিজেদের প্রতিপক্ষ নিজেরাই, নির্বাচনে নজিরবিহীন এবং অভিনব এসব প্রার্থীদের নাম শেখ হাসিনা নিজেই রাখেন ‘ডামি প্রার্থী’।

নির্বাচনী ময়দানে আওয়ামী লীগের মিত্র দল এবং নিজ দলের নেতাকর্মীদের পরস্পরের বিরুদ্ধে ‘ডামি প্রার্থী’ বানিয়ে ‘ডামি নির্বাচনের’ তরী পার হয়ে টানা চার মেয়াদের জন্য ক্ষমতা ধরে রাখতে পারলেও শেষ পর্যন্ত গদি রক্ষা করতে পারেননি শেখ হাসিনা।

বা তাকে দীর্ঘদিন অবৈধভাবে ক্ষমতায় থাকতে সহোযোগিতা করা পাশের দেশ ভারত সরকার ও।

কারন ছাত্র জনতার কোটা আন্দোলনের প্রথম থেকেই সরকার উৎখাতের মিশনে ছিলো দেশের প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

অন্যদিকে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম ফুল ফোকাস ছিলো বাংলাদেশর উপর। কোটা আন্দোলনের প্রথম থেকে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম ফ্যাসিস্ট সরকারের অপকর্মে তুলে ধরে সংবাদ প্রকাশ করে আসলেও, ফ্যাসিবাদের পতব শেষ পেরেক ঠুকে মধ্যপ্রাচ্য ভিত্তিক প্রভাবশালী গণমাধ্যম আল জাজিরা।

আন্দোলন চলাকালীন সময়ে শেখ হাসিনা সেনা সদস্যের মাঠে নামিয়ে সারাদেশে ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ করে দেওয়া অবস্থায় ঢাকা শহরের বিভিন্নস্থানে কারফিউ চলা অবস্থায় মাঠে থাকা সেনা সদস্যরা নির্বিচারে গুলিতে বহু আন্দোলনকারীদের হত্যা করে আন্দোলন দমানোর জন্য।

কিন্তু সেনাবাহিনী এলোপাতাড়ি গুলি করার দৃশ্যটি বিশেষ প্রতিবেদন হিসাবে ২৪ জুলাই প্রকাশ করে মধ্যপ্রাচ্য্য ভিত্তিক প্রভাবশালী গণমাধ্যম আল জাজিরা।

আল জাজিরার ঐ প্রতিবেদনটি শেখ হাসিনার গনহত্যার বিরুদ্ধে এতোটাই ফুঁসে ওঠে। তাদের প্রতিবেদনে শেখ হাসিনাকে উলঙ্গ করার পাশাপাশি, নরম সুরে ১৫ বছর বিবৃতিতে সীমাবদ্ধ থাকা, স্টেট ডিপার্টমেন্ট, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, জাতিসংঘ, আ্যামিনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল, হিউম্যান রাইট ওয়াচ, সহ পুরো বিশ্বের ক্ষমতাধর শাসকদের ঘুরে দাঁড়াতে বাধ্য করে।

২৪ জুলাই আল জাজিরার ঐ প্রতিবেদনটি এতোটাই বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে, যে বাংলাদেশ শান্তিরক্ষী বাহিনীর উপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার প্রস্তুতির আগেই পরিস্থিতি নাগালের বাহিরে চলে বিষয়টি বুঝতে পারেন সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার উজ জামান।

সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার উজ জামান শেষ মুহূর্তে বুঝে গিয়েছে, যদি মিশনে থাকা শান্তিরক্ষী মিশনের সেনা অফিসারেরা নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়ে দেশে মাঠিতে পা রাখার সাথে সাথে সেনা বিদ্রোহের ঘটনা ঘটেতে পারে।

আল জাজিরার ঐ প্রতিবেদনে বলা হয়, দীর্ঘ সময়ে বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের উপরনগুম, খুন চালিয়ে, বাংলাদেশের স্বৈরাচারী সরকার বর্তমানে আন্দোলন দমাতে দেশের সর্বোচ্চ প্রতিরক্ষা বাহিনীকে ব্যবহার করে আন্দোলন দমানোর নামে চলছে বাংলাদেশে গনহত্যা!

আল জাজিরার সেই প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ্য করা হয় আ,লীগ সরকারের সকল অপকর্ম করার কারন, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইইউ, ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা গুলো বিশ্বের প্রভাবশালী সরকার প্রধানদের নমনীয়তা শেখ হাসিনার অবৈধ ক্ষমতাকে টিকিয়ে রাখতে উৎসাহ যোগাচ্ছে!

আল জাজিরা প্রকাশিত প্রতিবেদন পর জাতিসংঘে সদরদপ্তরে থেকে শান্তিরক্ষী মিশনে বাংলাদেশী নিরাপত্তা বাহিনী অপরাধে জড়িত থাকার পরেও শান্তিরক্ষী সদস্য নির্বাচিত হয়েছে, তা জানতে নিউইয়র্কে জরুরি বার্তা পাঠানোর পরপরই মিশনে থাকা সেনাবাহিনীর উর্ধতন কর্মকর্তাদের তৎপরতায় ও সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকাব উজ জামান নিজের বিপদ আসন্ন দেখে হাসিনার পক্ষে নেওয়া অবস্থান থেকে সরে আসে।

একটি গণমাধ্যম জনগণের আলোর দিশারি এই উক্তিটি সারা বিশ্বকে কাঁপিয়ে দিয়ে আবারও প্রমান করলো মধ্যপ্রাচ্য ভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম আল জাজিরা।

পরবর্তী গুরুত্বপূর্ণ সংবাদ পেতে পেজে লাইক দিয়ে আমাদের সাথে থাকুন। 

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: CloudVai-ক্লাউড ভাই